দুর্গাপুরের “শাহজাহান-মুমতাজ”, বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রীকে চাঁদের জমি উপহার
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১৯ মেঃ
এই ভারতেই মুঘল আমলে সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী মুমতাজ বেগমকে ভালবেসে উপহার দিয়েছিলেন “তাজমহল”। যুগ যুগ ধরে এই তাজমহল ভালবাসার প্রতীক হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছে। এরকম নিদর্শণ এরপর ইতিহাসে বোধহয় আর পাওয়া যায়নি। কিন্তু এই বাংলারই একটি শহর দুর্গাপুর যেখানে দেখা মিলল শাহজাহান ও মুমতাজের মতো এক দম্পতির।
দুর্গাপুরের বিধাননগরের বাসিন্দা কবিরুদ্দিন তাঁর স্ত্রী ঈশিকাকে ভালবেসে তাদেরই বিবাহবার্ষিকীতে উপহার দিলেন চাঁদের এক ফালি জমি। শুনতে যেমন অবিশ্বাস্য তেমনই গল্পকথা মনে হয়। কিন্তু না এ কোনো রূপকথার গল্প কিংবা আরব্যরজনীর কাহিনী নয়। এ একদম বাস্তব ঘটনা।
দক্ষিণ ২৪ পরগণা মূল বাসিন্দা বর্তমানে দুর্গাপুরের বিধাননগর নিবাসী কবীরুদ্দিন বেসরকারী রিয়েল এস্টেট সংস্থার সাথে যুক্ত। কলকাতার গড়িয়া নিবাশী ঈশিকার সাথে প্রণয়ের সম্পর্ক আর তারপর দুই পরিবারের সহমত চার হাত এক হয়। আজ বৃহস্পতিবার কবীরুদ্দিন ও ঈশিকার পঞ্চম বিবাহবার্ষিকী আর এই বিবাহবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে কবীরুদ্দিন তার প্রিয়তমাকে “সারপ্রাইজ গিফট” দিলেন চাঁদে জমি কিনে।
কবীরুদ্দিন জানান গত দুমাস ধরে তিনি চেষ্টা চালাচ্ছিলেন চাঁদে স্ত্রীর নামে একটি জমি কিনতে। তাই দিনরাত ইন্টারনেট ঘেঁটে আমেরিকার একটি সংস্থা “লুনা সোসাইটি ইন্টারন্যাশানাল ডট কম” এর ওয়েবসাইট থেকে চাঁদে এক একর জমি কিনে ফেলেন। ও জমির বৈধ শংসাপত্র ইতিমধ্যেই তাঁরা হাতে পেয়ে গেছেন। আজ সেই শংসাপত্র যখন স্ত্রী ঈশিকার হাতে তুলে দেন কবীরুদ্দিন তখন হতবাক ঈশিকা রীতিমতো আনন্দে বাকরুদ্ধ। বলা ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। শুধু মাত্র আনন্দাশ্রু তার চোখে। আর এরকম এক নজীরবিহীন ভালবাসার সাক্ষী হয়ে রইল শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দারা।