গৃহবধূর রহস্য মৃত্যু, আটক স্বামী, বাকিরা পলাতক
আমার কথা, লাউদোহা, ১০ মে:
এক গৃহবধূর মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। ঘটনাটি ঘিরে ছড়ালো উত্তেজনা। দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালো মৃত গৃহবধুর আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা। বছর খানেক আগে লাউদোহা থানার হেতেডোবা গ্রামের হাজরা পাড়ায় আকাশ হাজরা নামে এক যুবকের সাথে বিয়ে হয় ওই গ্রামেরই বাসিন্দা মৃত্তিকা হাজরার (১৯)। সোমবার গভীর রাতে অসুস্থ মৃত্তিকাকে দুর্গাপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন মৃত্তিকার শ্বশুর বাড়ির লোকজনের। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। গৃহবধুর বাপের বাড়ির অভিযোগ মৃত্তিকাকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মারধর করার ফলে সে অসুস্থ হয়ে পরে। মারধরের কারনে তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছোতেই তৈরি হয় উত্তেজনা। সন্ধ্যেবেলায় মৃত্তিকার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর এলাকায় নিয়ে এলে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। স্বামী সহ দোষীদের শাস্তির দাবিতে মৃতদেহ রাস্তায় রেখে পথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। অবরোধ করা হয় হেতেডোবা-জব্বর পল্লী রাস্তা। সন্ধে ৬টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত চলে অবরোধ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় লাউদোহা থানার পুলিশ। পুলিশের কাছে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান অবরোধকারীরা। এরপরই মৃত্তিকার স্বামী আকাশ হাজরাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। শ্বশুর বাড়ির অন্য সদস্যরা পলাতক। সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ পুলিশের আশ্বাসে ওঠে অবরোধ।
এদিকে মৃত মৃত্তিকার দিদি রাধিকা হাজরা জানান বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে বোনের উপর অকথ্য অত্যাচার চলত। অন্য মহিলার সাথে আকাশের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। বোন তা মেনে নিতে না পারার কারণেই বোনের উপর অত্যাচার করা হতো বলে অভিযোগ করেন রাধিকা দেবী। আজ বুধবার ধৃত আকাশকে পেশ করা হয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে। তদন্তের স্বার্থে ধৃতকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলে জানান লাউদোহা থানার এক আধিকারিক।