সিটিসেন্টারের নির্মীয়মান “নগর-বন” উদ্যানে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন
আমার কথা, দুর্গাপুর, ৫ জুনঃ
প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে সবুজ অর্থাৎ গাছপালা। মানব সভ্যতার ঘাড়ের উপর যখন উষ্ণায়ন নিঃশ্বাস ফেললছে, সেখানে এই উষ্ণায়নের হাত থেকে মনুষ্যজাতিকে বাঁচাতে পারে একমাত্র সবুজে ভর্তি গাছপালা। প্রতি বছর অর্থাৎ ৫ই জুন দিনটিকে বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই দিনটিতে অঙ্গীকার করা হয় গাছ কাটা রোধ করার, প্রকৃতি জুড়ে নতুন নতুন বৃক্ষ রোপন আর পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা। এই অঙ্গীকার নিতে দেখা গেল শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরের মানুষজনকেও। এদিন সকাল থেকেই দুর্গাপুরের বিভিন্ন প্রান্তে প্রশাসনিক স্তরে নানা কর্মসূচী নিতে দেখা যায়। তার মধ্যে একটি দেখা গেল শহরের একেবারে প্রানকেন্দ্র সিটিসেন্টারে।
আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ণ পর্ষদের দেওয়া প্রায় ১৯ একর জমির উপর বনদপ্তরের তদারকিতে গড়ে তোলা হচ্ছে ইকো পার্ক “নগর-বন” নামে একটি পার্ক। সার্কিট হাউসের উল্টোদিকে এই জমিটিতে এক সময় শুকরের খোয়াড় ছিল। ছিল জবরদখল বসবাস। সেই জায়গাটিকে দখল মুক্ত করে প্রাকৃতিক উপায়ে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। সেই উদ্যানেই আজকে প্রশাসনিক উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী নেওয়া হয়েছিল এই বিশ্ব পরিবেশ দিবসে। এদিন নির্মীয়মান পার্কের ভেতর চারাগাছ রোপন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন মহকুমা শাসক সৌরভ চ্যাটার্জি, এডিডিয়ের চেয়ারম্যান তাপস বন্দোপাধ্যায়, দুর্গাপুর বনদপ্তর আধিকারিক বুদ্ধদেব মন্ডল সহ আরো অনেক কর্তাব্যাক্তি।
এদিনের অনুষ্ঠান থেকে এই বার্তাই দেওয়া হয় যে, দুর্গাপুর শিল্পনগরী, আর এই শহরে কল কারখান্র দরুন প্রকৃতিতে দূষণের মাত্রাও খুব বেশি। তাই এই শহরকে দূষণমুক্ত রাখার জন্য বেশি করে গাছ লাগাতে হবে আর সেই গাছগুলিকে সযত্নে লালন পালন করতে হবে। শুধু তাই নয় সাথে এও বার্তা দেওয়া হয় যাতে পরিবেশকে নোংরা না করে বরং বেশি করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন শহর গড়ে তুলতে হবে।