সাইবার ক্রাইমে দুষ্কৃতিদের নয়া পদ্ধতি, দুর্গাপুরে শিকার ৯ জন
আমার কথা, দুর্গাপুর, ৯ সেপ্টেম্বর:
দুর্গাপুর : ব্যাঙ্ক থেকে হঠাৎ টাকা উধাও বিভিন্ন অন লাইন প্রতারণার মাধ্যমে। নতুন সংযোজন আধার থেকে বায়োমেট্রিক চুরি করে টাকা গায়েব। তদন্তে সাইবার ক্রাইমের পুলিশ ।
দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানা এলাকার বিধাননগরের এক ব্যবসায়ীর গতকাল রাত ৮.৩৫ মিনিট নাগাদ একটি বেসরকারী ব্যাঙ্ক থেকে একটি ম্যাসেজ আসে AEPS এর মাধ্যমে দশ হাজার টাকা তুলে নিয়েছে। রাতেই সাইবার ক্রাইম দফতরে মৌখিক অভিযোগ জানালেও, আজ সকালে দশটার পর লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। কারণ সাইবার ক্রাইম এর দফতর সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকে বলে জানান অভিযোগকারী বিবেকানন্দ মুখার্জি।
কিন্তু কিভাবে হচ্ছে এই প্রতারনা? দুর্গাপুরের সাইবার ক্রাইম দফতরের এক আধিকারিক বিবেকানন্দ বাবুকে জানিয়েছেন, গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত নয় জন অভিযোগ করেছে এইভাবে দুষ্কৃতিদের টাকা তুলে নেওয়া। আধারের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজে হাতের ছাপ দেওয়া হয়, সেই হাতের ছাপ দুষ্কৃতিদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে কোনও ভাবে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতামত, বিশেষ করে জমি রেজিস্ট্রেশনের সাথে এই অপরাধীদের কোনো ভাবে যোগ সাজস আছে। কারণ এই বিবেকানন্দ মুখার্জি গত দু মাস আগে কলকাতায় এক ফ্ল্যাট কিনে রেজিস্ট্রি করে আসেন। জমি রেজিস্ট্রেশন করতেই সব আঙ্গুলের ছাপ লাগে। তবে সাইবার বিশেষজ্ঞদের অভিমত, এই ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর ছাড়াও অন্য ভাবে হতে পারে। যেহেতু আজ শনিবার, তাই ব্যাঙ্কের লিখিত অভিযোগ জানাতে পারেননি বলে জানান বিবেকানন্দ বাবু।
তাই সরকারের উচিৎ মানুষকে সচেতন করতে আধারের বায়োমেট্রিক লক করে রাখার পরামর্শ দিতে। যাতে এরপর আর অন্য সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে।