সহ্য হচ্ছিল না অত্যাচার, স্ত্রীকে নিয়ে আত্মঘাতী স্বামী
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(কাঁকসা), ৩০ নভেম্বরঃ
এ এক ভালোবাসার দৃঢ় অঙ্গীকার। একসাথে বাঁচতে চেয়েছিলেন এই দম্পতি, কিন্তু বাঁচতে পারলেন না এক সাথে। তাতে কি? এক সাথে মরতে তো পারবে৷ তাই যুগলে বেছে নিলেন আত্মহত্যার পথ। স্ত্রীর ওপর বাবা মায়ের অত্যাচার মেনে নিতে পারেননি, তাই একসাথে আত্মঘাতী হলেন এক তরতাজা দম্পত্তি। দুর্গাপুরের কাঁকসার বাবনাবেড়া রুইদাস পাড়ার এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। বছর ২৪ এর আকাশ আঁকুড়ের সাথে পম্পা রুইদাসের (১৬) বিয়ে হয়েছিল বছর দুয়েক আগে। প্রণয়ের সম্পর্ক, পরে তা পূর্নতা পায়, বিয়ে হয়। কিন্তু আকাশের ঘরের লোকজন মেনে নিতে পারেনি এই বিয়ে, বিয়ের পর থেকে নানারকম অশান্তি চলতো।
অভিযোগ, একই পাড়াতে বিয়ে হওয়ার পরও বাপের বাড়ির সাথে পম্পাকে যোগাযোগ রাখতে দিতো না আকাশের পরিবার। কিন্তু অত্যাচারের মাত্রা প্রতিনিয়ত বাড়ছিলো বলে অভিযোগ। স্ত্রীর ওপর এই অত্যাচার আর মেনে নিতে পারছিলো না বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান আকাশ। পরিবার ও পাড়ার লোকজনের ধারনা ঠিক এই কারণে দুইজন একসাথে আত্মহত্যা করেছে। কাঁকসা থানার পুলিশ আকাশের বাড়ি থেকে দুই জনের নিথর দেহ উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।