উখরায় ঠিকাদারের বাড়ি থেকে উদ্ধার রেশনের চাল, আটক অভিযুক্তের ২ ছেলে
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ৪মেঃ
এক ঠিকাদারের বাড়ি থেকে ২০ বস্তা সরকারী চাল উদ্ধার হল, আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো অন্ডাল থানার উখরা ফাঁড়ির অন্তর্গত চ্যাটার্জী রুইদাস পাড়া এলাকায়। অভিযুক্ত প্রশান্ত দাস ঘটনার পরেই গা ঢাকা দিয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তের দুই ছেলেকে আটক করেছে, সাথে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে চালের বস্তাগুলিও।
করোনা মোকাবিলায় রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার মানুষজনকে ঘরে থাকার আবেদন জানিয়েছে। এদিকে লকডাউনের কারনে বেশ দুরবস্থার মধ্যে পড়তে হয়েছে সাধারন মানুষকে, বিশেষতঃ দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজনদের। এমতবস্থায় যাতে রাজ্যবাসীকে খাদ্য সংকটের মধ্যে পড়তে না হয় তার জন্য সরকারের তরফে রেশনের মাধ্যমে বিনামূল্যে চাল, গম বিলি করা হচ্ছে। শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার গণবন্টন। প্রথম দফায় রেশনের সামগ্রী নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। তাই দ্বিতীয় দফায় গণবন্টন ব্যবস্থা চালু হয়েছে আরো কড়া প্রশাসনিক নজরদারির মধ্যে দিয়ে। তারই মধ্যে উখরার রাত ৮টা ৩০ নাগাদ উখরা ফাঁড়ির পুলিশ গোপন সুত্রে খবর পেয়ে প্রশান্তবাবুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২০ বস্তা রেশনের চালের বস্তা উদ্ধার করে। এদিকে পুলিশীর উপস্থিতি টের পেয়ে এলাকায় জমায়েত হয় স্থানীয়দের। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে তাদের মধ্যে। পুলিশ প্রশান্তবাবুর দুই ছেলেকে আটক করে।
ছেলে সুবীর দাস বলেন যে, “ওই এলাকারই তারক গড়াই নামে ইট বালির এক ব্যবসায়ী ওই চালের বস্তাগুলি তার বাবার সম্মতিতে তাদের বাড়িতে রেখে যায় গতকাল রাতে। তবে এই চালের বস্তাগুলি সরকারী চাল না কিসের চাল তা আমরা জানি না”
অপরদিকে, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পঞ্চায়েত সদস্য কমলাকান্ত বন্দোপাধ্যায় বলেন যে, “লকডাউনে মানুষ যাতে খাদ্যকষ্টে না পড়েন তার জন্য রাজ্য সরকার প্রতিটি মানুষের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আর রেশন ডিলার সরকার বদনাম করার জন্য এই ধরনের অবৈধ কাজকর্ম করছে। তাই প্রশাসনের কাছে আমার আর্জি এদের কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।”
এদিকে পুলিশ তদন্ত করে দেখছে ওই চালের বস্তাগুলি কোনো রেশন ডিলার পাচার করেছে।