জলবাহিত রোগে আক্রান্ত ৪০ জন, গ্রামে বসলো মেডিকেল ক্যাম্প

আমার কথা, কাঁকসা, ৬ ফেব্রুয়ারীঃ
কাঁকসার মলানদীঘি পঞ্চায়েতের আকন্দরা গ্রামে জলবাহিত রোগে আক্রান্ত ৪০ জন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গিয়েছে বুধবার দুপুরের পর থেকে একের পর এক মানুষের পেটে ব্যাথা ,বমি ,পায়খানা হতে শুরু করে। এই সমস্ত উপসর্গ নিয়ে রাত থেকেই একের পর এক রুগী হাসপাতালে ভর্তি হতে থাকে। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ৪০ জন আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। যার মধ্যে ২৫ জনকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল সহ কাঁকসার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। বাকি ১৫ জন আক্রান্তের বাড়িতেই চিকিৎসা চলছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গ্রামে মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলছে নজরদারি।
এই বিষয়ে মলানদীঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান বিশ্বরূপ চ্যাটার্জি জানিয়েছেন,তাদের অনুমান টিউবওয়েলের জল থেকেই গোটা গ্রামের মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। ২৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, আরো ১৫ জন বাড়িতে রয়েছেন। জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সমস্ত টিউবওয়েল ও পুকুরের জল পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ওআরএস বিলি করা হয়েছে। গ্রামে ট্যাঙ্কের মাধ্যমে পানীয় জলের সরবরাহ করা হচ্ছে।পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে। কেউ নতুন করে আক্রান্ত হলে অ্যাম্বুলেন্স রেডি করে রাখা হয়েছে। গোটা বিষয়টি ব্লক আধিকারিককে জানানো হয়েছে।
গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন,বুধবার দুপুর থেকেই হঠাৎ করে পেটে খিঁচুনি ধরতে থাকে অনেকেরই। তার পরেই শুরু হয় বমি পায়খানা। বাউড়ি পাড়া ও বাগদি পাড়ায় বেশি সংখ্যায় মানুষ আক্রান্ত।সকলকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত;গত কয়েকমাস আগেই একই পঞ্চায়েতের অধীনে অন্য একটি গ্রামে একই ভাবে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয় বহু মানুষ।যার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়।প্রশাসন একই ভাবে তৎপরতার সাথে পরিস্থিতির সামাল দেয়।বার বার একই এলাকায় জল বাহিত রোগ দেখা দেওয়ায় চিন্তায় পড়েছে প্রশাসন।প্রশ্ন উঠেছে বার বার একই এলাকায় জলের জন্য ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়তে থাকায় কি ওই এলাকায় জলের কোনো সমস্যা রয়েছে।