দুর্গাপুরে বেসরকারি কারখানায় বিক্ষোভ ৪৫ জন অসুস্থ শ্রমিকের, নির্বিকার কর্তৃপক্ষ
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১১ জুলাই:
কারখানা নগরী দুর্গাপুর, ডা: বিধানচন্দ্র রায়ের স্বপ্নের শহর দুর্গাপুর। তাঁর হাত ধরেই এই কারখানা বেষ্টিত শহরটি গড়ে উঠেছিল, আর আজ সেই শিল্পাঞ্চলের মাটি ভিজছে শ্রমিকের চোখের জলে। ৪৫ জন অসুস্থ শ্রমিকের আর্জি কানেও তুলছেন না কারখানা কর্তৃপক্ষ।
দুর্গাপুরের বেসরকারি গ্রাফাইট কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন স্বপন কুমার দে, মহঃ জয়রা। যারা বর্তমানে কেউ দুরারোগ্য ক্যনসার রোগে ভুগছেন, আবার কেউ পঙ্গু হয়ে যাওয়ার দরুন ঠিক মতো চলা ফেরা করতে পারেন না। ফলে তাঁরা কারখানায় কাজেও যেতে পারছেন না। অথচ তাঁদের এখনও চাকরি রয়েছে। তাঁরা কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে বহুদিন ধরে আবেদন জানাচ্ছেন যে, তাঁরা স্বেচ্ছাবসর নিতে চান আর তার জায়গায় যেন তাঁদের কারোর ছেলে কিংবা জামাইকে এই চাকরিটা দেওয়া হয়, যাতে তাঁরা অন্তত্য দুবেলা খেতে পরতে আর চিকিৎসা করাতে পারেন। কিন্তু অনড় কর্তৃপক্ষে তাঁদের সেই আবেদনে কোনোভাবেই সাড়া দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ। দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও কাজ হচ্ছে না কারোর। ফলে রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম অভাবের মধ্যে দিন কাটছে তাঁদের। তাঁদের অভিযোগ শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের উচ্চ নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও। তাঁরা বলেন এমন বিপদের দিনে তাঁরা কোনো শ্রমিক নেতাকে পাশে পাচ্ছেন না। বৃহস্পতিবার এরকমই ৪৫ জনসুস্থ শ্রমিক ফের কারখানার গেটের সামনে একত্রিত হন। কেউ আসেন ক্রাচ নিয়ে আবার কেউ আসেন অক্সিজেন সিলিন্ডার সাথে নিয়ে। তারা বিক্ষোভে সামিল হন এদিন।
ওই কারখানার আইএনটিটিইউসি নেতা সেখ রমজান বলেন, এনাদের বিষয়টি জেলার দুই মন্ত্রী মলয় ঘতক, প্রদীপ মজুমদার, জশ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটককে একাধিকবার জানানোর পরেও কোনো লাভ হয়নি। তাই এদিন তিনি হুঁশিয়ারি দেন আর বলেন, অসহায় মানুষগুলো যতদিন না সুবিচার পাচ্ছেন ততদিন এই আন্দোলন তিনি তাঁদের হয়ে চালিয়ে যাবেন। তাতে যদি জঙ্গি আন্দোলনের তকমা জোটে, তাতেও তিনি পিছিয়ে যাবেন না।