সামাজিক দুরত্ব রক্ষার্থে দুর্গাপুর বাজারকে সরানো হল টি.এন স্কুলের মাঠে
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ২৯এপ্রিলঃ
সকাল হতেই বাজারে ক্রেতাদের ভিড় সহজেই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে সরকার যতই সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য আবেদন নিবেদন করুক, করোনা সংক্রমণ নিয়ে অনেকেই এখনও উদাসিন। কিন্তু পুলিশ এ ব্যাপারে একদমই উদাসিন নয়। তাই আজ বুধবার দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার পুলিশ হাটতলার সব্জি বাজারটিকে টি.এন স্কুলের মাঠে স্থানান্তরিত করল। ওই বাজারেও সামাজিক দুরত্বে ক্ষেত্রে ক্রেতা বা বিক্রেতাদের বেশ সচেতনতার অভাব দেখা যাচ্ছিল। তাই সামাজিক দুরত্বের কথা মাথায় রেখে আজ থেকে ওই বাজারের একটা বড় অংশ টিএন স্কুলের মাঠে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল। বাকি বাজারের অংশটিও আগামীকালের মধ্যেই স্থানান্তরিত করা হবে বলে জানান ওই থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সন্দীপ দাস।
করোনা মোকাবিলায় রাজ্যে চলছে লকডাউন। করোনা সংক্রমণ এড়াতে যতদিন না ভ্যাক্সিন আবিষ্কৃত হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত্য মানুষ যদি নিজেদের ঘরবন্দী করে রাখে তাহলে এই সংক্রমণের হাত থেকে অনেকটাই নিজেদের রক্ষা করতে পারবে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। সাথে তাঁরা এও নিদান দিয়েছেন যে একান্তই বাইরে বেরোলে নিজেদের মধ্যে সতর্কতামূলক সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলা উচিত। আর এই কারনেই রাজ্যে চলছে লকডাউন। কিন্তু এতসবের পরেও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। তাই সরকারের নির্দেশে পুলিশ প্রশাসন বিষয়টিকে কড়া নজরদারির মধ্যে রাখার চেষ্টা করছে। আর তা রাখতে গিয়েই এদিন কোকওভেন থানার পক্ষ থেকে এহেন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
লকডাউনের জেরে বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাই অনেকেই রোজগারের জন্য কিছু কিছু সব্জি, ফল থেকে শুরু করে অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্য ওই সেন মার্কেট রোডের ধারে ধারে ঠেলা গাড়িতে করে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করছিল। যার ফলে বিক্রেতার সংখ্যাও বেড়ে গেছে আর সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার ব্যাপারে অনেকটা অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছিল। এদিন কোকওভেন থানার পুলিশ সেই সমস্ত ঠেলার বিক্রেতাদের ভিড় বাজার থেকে কমিয়ে তাদের পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে বিক্রির পরামর্শ দেয়। ফলে আগামীদিন থেকে ওই এলাকায় সামাজিক দুরত্ব অনেকাংশেই বজায় থাকবে বলে মনে করছে কোকওভেন থানার পুলিশ।