বর্ধমানে আত্মঘাতী ছাত্রী তুহিনার বাড়ি গেলেন অধীর চৌধুরী
আমার কথা, পূর্ব বর্ধমান, ৭ মার্চঃ
পুরভোটের ফলপ্রকাশের দিন তরুণী তুহিনা খাতুনের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে আজ আসরে নামল কংগ্রেস। আজ রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের এক প্রতিনিধদল মৃতার বাড়িতে যান। অধীরবাবুর সঙ্গে ছিলেন পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের সভাপতি সহ অন্যান্য নেতারাও। এদিন অধীরবাবু নিহত তরুণীর বাড়ি যান। সেখানে পরিবারের সদস্যদের সংগে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। তিনি তাদের বলেন; কংগ্রেস তাদের পাশে আছে। তাদের কোনোরকম আইনি সহায়তা দরকার হলে তারা পাশে থাকবেন।দরকারে উচ্চ-আদালতে যাওয়া হবে।
এরপর সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন; এটা রবীন্দ্রনাথ ; নজরুলের বাংলা। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। সেখানে এরকম একটি ঘটনা খুবই লজ্জার।
অধীর চৌধুরী আরো বলেন; যেভাবে এই ঘটনায় একজন সংখ্যালঘু ঘরের মেয়ের মর্যাদা নিয়ে কুরুচিকর আচরণ করা হয়েছে, মেয়েদের গলায় দড়ি পড়ানোর ছবি এঁকে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন; যারা এমন কাজ করে তারা কি তার দলের লোক? তিনি বলেন; এমন কি মেয়েটির মৃত্যুর পরও তার পরিবারকে হুমকি ও ভীতিপ্রদর্শন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন; গোটা রাজ্যে মহিলা ও সংখালঘুদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেই চলেছে।
প্রসঙ্গতঃ এর আগে কংগ্রেসের নেপাল মাহাতো ও শুভ্রা দত্তের নেতৃত্বে দুটি দল মৃতার বাড়িতে এসেছেন।
এখানে উল্লেখ্য; বর্ধমান পৌরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুরবাগ মসজিদ সংলগ্ন নতুনপল্লী এলাকায় পৌর ভোটের ফল ঘোষণার পর বুধবার বিকেলে বাড়ি থেকে এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার নাম তুহিনা খাতুন(১৮)। তাকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। তুহিনা রাজ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল।
নবনির্বাচিত ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বসির আহমেদের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ করেন মৃতার পরিবার। অভিযোগের পরিপেক্ষিতে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে।কিন্তু পরিবারের মূল অভিযোগ ছিল এলাকার সদ্য নির্বাচিত কাউন্সিলর বসির আহমেদের বিরুদ্ধে।