স্ত্রী কালো বলে চলতো অত্যাচার, অবশেষে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ
আমার কথা, পূর্ব বর্ধমান(কালনা), ২৬ এপ্রিলঃ
স্ত্রী কালো তাই তার ওপর শারীরিক অত্যাচার ও গঞ্জনা চলছিল। এর পরই রহস্যজনক ভাবে কালনার পূর্বস্থলীর বড় ধামাস এলাকায় ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। দেহ উদ্ধার করে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য আনা হইয়। ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করে কালনা আদালতে পাঠায় পূর্বস্থলী থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, তিন বছর আগে নিজের ছবি এডিট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন হুগলীর ভদ্রেশ্বর থানা এলাকার এন এস রোড ক্ষুদিরাম পল্লীর বাসিন্দা সরোজিনী ঘোষ। সেই ছবি দেখে প্রেমে পড়ে যায় কালনার পূর্বস্থলীর মাজিদা পঞ্চায়েতের বড় ধামাস গ্রামের দেবার্ঘ্য ঘোষ। দুই জন বাড়ির অমতেই পালিয়ে বিয়ে করে নেয়। এক বছর সব কিছু ঠিকঠাক চললেও সংসারের ছন্দ পতন হয় বধূর গায়ের রং কালো বলে। শুরু হয় শ্বশুর বাড়ির লোকেদের গঞ্জন। চলে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার।হঠাৎ গতকাল অর্থাৎ সোমবার নিজের শ্বশুর বাড়ি থেকে বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের বাপের বাড়ির লোকজনদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নানা রকমভাবে অত্যাচার চালাত পরিবারের লোকেরা। মারধর করত. এমনকি ফেসবুকে দেখে পরিচয় হওয়ার পর বিয়ের পর থেকেই কালো বলে গঞ্জনা দিত তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তাঁর স্বামী তাঁর স্ত্রী কে এমনও বলত ফেসবুকের ছবি দেখে সে প্রথমে তাঁকে এত কালো বুঝতে পারেনি, এমনকি তার স্বামীর অন্য জায়গায় সম্পর্কও ছিল. এর পরই ওই মহিলার গতকাল ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়. ঘটনার পূর্বস্থলী থানার পুলিশ স্বামী দেবার্ঘ্য ঘোষ ও শ্বশুর বাবলু ঘোষকে গ্রেপ্তার করে এদিন মঙ্গলবার কালনা আদালতে পাঠা।