‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের প্রতিবাদে ডাকা ভারত বনধের প্রভাব পড়ল না খনি অঞ্চলে
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(অন্ডাল), ২০জুনঃ
“অগ্নিপথ” প্রকল্পে চুক্তিভিত্তিক সেনা নিয়োগ এর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোমবার বেশ কয়েকটি সংগঠন একযোগে ভারত বনধের ডাক দিয়েছিল। এদিন গোটা রাজ্যের মত অন্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর, লাউদোহা সহ বিস্তীর্ণ খনি অঞ্চলে বনধের কোনো প্রভাব পড়েনি। স্বাভাবিক ছিল জনজীবন। অন্ডালের নর্থ ও সাউথ বাজার, কাজোরা, উখড়া, পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের পাণ্ডবেশ্বর, হরিপুর, বহুলা, লাউদোহা ব্লকের লাউদোহা, বনগ্রাম সহ সমস্ত বাজার হাট খোলা ছিল অন্যান্য দিনের মতোই। রাস্তায় স্বাভাবিক ছিল যান চলাচল। সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও বনধের কোনো ছাপ পড়েনি। পূর্বঘোষণা মত এদিন এলাকার সমস্ত বিদ্যালয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের হাতে মার্কশিট ও শংসা পত্র দেওয়া হয়। খনি সংস্থা ইসিএলের বাকোলা,কেন্দা, কাজোরা, পাণ্ডবেশ্বর এরিয়ার সমস্ত কয়লা খনিতে শ্রমিকদের হাজিরা ও উৎপাদন ছিল স্বাভাবিক। বনধের সমর্থনে খনি অঞ্চলে গতকাল অথবা আজ কোন প্রভাব চোখে পড়েনি।
এদিনের বনধ সম্পর্কে তৃণমূল নেতা তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুজিত মুখোপাধ্যায় জানান চুক্তিভিত্তিক সেনা নিয়োগের “অগ্নিপথ”- প্রকল্প নিয়ে আমাদের দলের অবস্থান খুব স্পষ্ট। আমাদের দল এই প্রকল্প যেমন সমর্থন করেনা তেমনি আমরা এই বনধকেও সমর্থন করছি না । আমাদের দল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই বনধে যাতে রাজ্যে প্রভাব না পড়ে সেজন্য মানুষের কাছে আবেদন রেখেছিলেন। বাংলার মানুষ সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছেদ। খনি এলাকাতেও বনধে কোনো প্রভাব পড়েনি বলে সুজিত বাবু দাবি করেন।