ডুবতে থাকা নৌকো বাঁচাতে গিয়ে মাইথনে তলিয়ে মৃত্যু নৌ-চালকের
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(মাইথন), ৩ জুলাইঃ
মাইথন জলাধারের নদীতে একজন নৌ-চালকের তলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো। ঘটনাটি ঘটে বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমান্তের দামোদর নদের মাইথন জলাধারে৷
জানা গিয়েছে, সালানপুর থানার কল্যাণেশ্বরী ফাঁড়ির অন্তর্গত এক নৌ-চালক মাইথন নদীতে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে৷ স্থানীয় সূত্রে জানা যায় শনিবার দুপুরে মাইথন জলাধারের নদীতে নৌকায় যাত্রীদের নিয়ে রওনা দেন ওই নৌ-চালক সুলেমান আনসারী(৬০)৷ নৌকা বিহার শেষে যাত্রীদের নামানোর পর নৌকাটি বেঁধে স্নান করতে নদীতে নামেন তিনি। ঠিক সেই সময় নৌ-চালক সুলেমান আনসারী দেখেন তার নৌকাটি নদীর স্রোতে ভেসে যাচ্ছে। নৌকা বাঁচাতে গিয়েই মাইথন জলাধারের নদীতে তলিয়ে যায় নৌ-চালক সুলেমান আনসারী৷ ঘটনার খবর দেওয়া হয় স্থানীয় কল্যাণেশ্বরী ফাঁড়িতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায় এবং স্থানীয় নৌ-চালকদের সাহায্যে নদীতে অনুসন্ধান শুরু করে। তবে অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও সুলেমান আনসারীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি৷ শেষ পর্যন্ত শনিবার অন্ধকার নেমে আসায় সাময়িক ভাবে অনুসন্ধান বন্ধ রাখা হয়৷ তবে রবিবার সকাল থেকেই ফের শুরু করা হয় মাইথন জলাধারের নদীতে নৌ- চালকের অনুসন্ধান। ডেকে পাঠানো হয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যদের৷ উল্লেখ্য, নৌ-চালক সুলেমান আনসারী বাথান বাড়ি এলাকার বাসিন্দা৷ স্থানীয় এলাকায় সুলেমান আনসারী এক পরিচিত মুখ, যার নামে মাইথন জলাধারের পাশে তৈরি হয়েছে সুলেমান পার্ক ৷ শেষ পর্যন্ত রবিবার সকাল ৯:৩০ নাগাদ প্রায় ১৪ ঘন্টা পেরিয়ে মাইথন জলাধারের নদী থেকে নৌ- চালকের দেহ উদ্ধার হয়৷ স্বাভাবিক ভাবেই নৌ- চালকের তলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।