বিডিওর বিরুদ্ধে নবান্ন ও জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(অন্ডাল), ৬ জুলাইঃ
বিডিও অনৈতিক কাজের সাথে যুক্ত, তার কাছে অভিযোগ জানিয়েও মেলে না প্রতিকার, বিডিও-র বিরুদ্ধে এইসব অভিযোগ নিয়ে সম্প্রতি সরব হয়েছেন অন্ডাল পঞ্চায়েত সমিতির কর্মধ্যক্ষদের একাংশ।
সুত্র মারফত জানা গেছে, অন্ডাল ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক ( বিডিও) সুদীপ্ত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ২৪ শে জুন নবান্ন ও জেলা শাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ পত্র জমা পড়ে। সেই অভিযোগ পত্রে স্বাক্ষর রয়েছে অন্ডাল পঞ্চায়েত সমিতির আট জন কর্মাধ্যক্ষ ও দুজন পঞ্চায়েত সদস্যের। রয়েছে ১১ টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিযোগকারী এক কর্মাধ্যক্ষ জানান ব্লকের কাজোরা ও খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাংলা আবাস যোজনায় অনিয়ম হয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকজন তালিকায় নাম থাকা উপভোক্তাদের বঞ্চিত করে সেই টাকা পেয়েছে অন্য ব্যক্তিরা। সম্প্রতি বিডিও অফিসের বেশ কিছু পুরনো আসবাবপত্র বিক্রি করা হয়েছে যা টেন্ডার ডেকে বিক্রি করার নিয়ম। কিন্তু বিক্রি প্রক্রিয়ায় সেই নিয়ম মানা হয়নি। বিডিও সাহেব কম টাকায় তার এক পরিচিতকে এই সব আসবাবগুলি পাইয়ে দিয়েছেন। এতে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। এছাড়াও ব্লকে মিড ডে মিলের সুপারভাইজার পদে চুক্তিভিত্তিক একজনকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিয়োগ হয়েছে। নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো তথ্য পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষদের জানানো হয়নি। অভিযোগে জানানো হয়েছে সকরা গ্রামে একটি সরকারি স্কুলের জমির উপর অবৈধভাবে বাড়ি তৈরীর কাজ চলছে। মদনপুর পঞ্চায়েতের জনশন রোডে রাস্তা দখল হয়েছে। স্থানীয় জমি কারবারীরা এই কাজের সাথে যুক্ত। বিষয়টি বিডিও সাহেবকে জানানো সত্ত্বেও তিনি কোন পদক্ষেপ নেয়নি। বেশ কিছুদিন পূর্বে মদনপুর পঞ্চায়েতের হরিশপুরে একশ দিনের কাজে একটি পুকুর সংস্কার করা হয়েছে। পুকুরটিতে বিগত কুড়ি বছর ধরে মাছ চাষ করেন স্থানীয় রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস নামে এক মৎসজীবি। অভিযোগ চাষীকে না জানিয়েই পুকুরের ১২/১৪ কুইন্ট্যাল মাছ তুলে তা স্থানীয়দের মধ্যে বিতরণ করে দিয়েছেন বিডিও সাহেব। এতে মাছ চাষের প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে আর ওই মৎসজীবিকে কোন ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে বিডিও সুদীপ্ত বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ভিত্তিহীন অভিযোগ, সরকারি নিয়ম-নীতি মেনে সব কাজ হয়েছে। বিষয়গুলি বুঝতে অসুবিধা হলে অভিযোগকারীরা তার সাথে আলোচনা করতে পারতেন বলেও জানান সুদীপ্তবাবু।