ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলেন, দুর্গাপুরের প্রাক্তন কাউন্সিলরের ফের তৃণমূলে যোগদান
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১৬ জুলাইঃ
ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলেন। সমস্ত রাগ অভিমান ভুলে বিধায়কের হাত ধরে ফের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন দুর্গাপুরের প্রাক্তন পুরপিতা কৃষ্ণেন্দু আচার্য। য়াজ শনিবার দুর্গাপুরের ১নং ব্লক অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার ও আসানসোলের মহানাগরিক বিধান উপাধ্যায়।
জন্মলগ্ন থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সক্রিয় নেতা ছিলেন কৃষ্ণেন্দুবাবু। ২০০৭ সালে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি ছিলেন। এরপর ২০১১ সালে দুর্গাপুর পুর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে হয়লাভ করেন। ২০১৭ সাল পর্যন্ত্য কাউন্সিলর থাকার পর ওই সালেই তিনি আএ পুরনির্বাচনে কোনো টিকিট পাননি।
তৃনমূলের এই প্রাক্তন পুরপিতা কৃষ্ণেন্দু আচার্য জানান, গত দু’-তিন বছর ধরে তিনি যেন দলের কাছে অপাংক্তেয় হয়ে গেছিলেন বলে অনুভব করছিলেন। নানা সময় নানা ভাবে থাকার চেষ্টা করলেও তাঁকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সেই অভিমানে কিছু একটা করে দেখানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি আর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। তবে তাঁর এই সিদ্ধান্ত যে অত্যন্ত ভুল ছিল তা তিনি স্বীকার করেন। বলেন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর দলের দু তিনটি ঘরোয়া মিটিংয়ে যোগ দিয়েই তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছিলেন। বুঝেছিলেন এই দলটি সাম্প্রদায়িক বিভেদকারী দল। যা তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না। কারন ঙ্কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন তিনি ছোট থেকেই হিন্দু মুসলমান সবাইকে এক সাথে নিয়ে চলতে ভালবাসেন। অনেক মুসলমান বন্ধু তাঁর রয়েছে। তাদের শত্রু ভাবা সম্ভব ছিল না কারন তিনি জাতীয়তাবাদী ঘরের ছেলে বলে জানান এই প্রাক্তন পুরপিতা। কয়েকজনের উপর অভিমান করে এই ভুল সিদ্ধান্ত তাঁর নিয়ে ফেলা। সেটা বুঝতে পেরে ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকে দলে ফেরার চেষ্টা তিনি করছিলেন। কিন্তু সেই সময় জেলা নেতৃত্বের বদান্যতায় তিনি দলে ঢুকতে পারছিলেন না। তবে এতদিন পর বিধান উপাধ্যায় ও প্রদীপ মজুমদারের কারনে তিনি ফের দলে যোগ দিতে পেরে খুশি। “ঘরের ছেলে যেন ঘরে ফিরলাম এই অনুভূতি হচ্ছে এখন” বলে জানান কৃষ্ণেন্দুবাবু।