দুর্গাপুরে করোনায় আক্রান্ত দুই বৃদ্ধের এলাকা বাঁশের ব্যারিকেডে করা হল কনটেনমেন্ট জোন
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ১২মেঃ
দুর্গাপুরে করোনায় আক্রান্ত দুই বৃদ্ধের বাড়ির সামনে আজ প্রায় ২০০ মিটার এলাকা বাঁশের ব্যারিকেড করে কনটেনমেন্ট জোন তৈরী করে দেওয়া হল পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এর ফলে আপাততঃ বাইরে থেকে কেউ ওই ২০০ মিটারের মধ্যে প্রবেশ করতে পারিবে না , আবার ওই ২০০ মিটারের মধ্যে বসবাসকারী কেউ বাইরে যেতে পারবে না। পাশাপাশি ওই ২০০ মিটারের মধ্যে যে মোট ২১টি পরিবারগুলিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হল তাদের প্রয়োজনীয় সমস্ত পরিষেবা দেওয়ার দায়িত্বভার গ্রহণ করা হল পুলিশের পক্ষ থেকে।
প্রসঙ্গতঃ দুর্গাপুর থানার অন্তর্গত এ জোনের সি আর দাস রোড ও বি জোনের নিউটন অ্যাভিন্যু বাসিন্দা বছর উনআশি ও বছর পঁয়ষট্টির দুই বৃদ্ধ শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে গান্ধী মোড় সংলগ্ন একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি হন ৬ই মে। সেখান থেকে তাদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়। সেই পরীক্ষার রেজাল্ট পজিটিভ আসার পরেই তাদের কাঁকসার মলানদিঘির করোনা বিশিষ্ট হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এদিকে, ওই দুই বৃদ্ধের পরিবারের ১৭ জন সদস্যকে ইঞ্জিনিয়ার্স হস্টেলের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে স্থানান্তরিত করা হয় গতকাল সন্ধ্যেয়। পুলিশ প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, তাদের মধ্যে করোনা সংক্রমিত হয়েছে কিনা তা জানতে ওই সদস্যদেরও লালারসের নমুনা পরীক্ষা করতে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। এরপর আজ সকালে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রাজশেখর মুখোপাধ্যায় ও এসিপি(পূর্ব) স্বপন দত্তের উপস্থিতিতে ওই দুটি জায়গায় পুলিশ বাঁশের ব্যারিকেড বসিয়ে দেয়।
পুলিশের এই পদক্ষেপের পর আপাতত কিছুটা স্বস্তি এসেছে শিল্পাঞ্চলবাসীদের মধ্যে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে ভীষণভাবে নজরদারি চালানো হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে যাতে করোনা সংক্রান্ত কোনো গুজব ছড়ানো বা মানুষজনকে বিভ্রান্ত না করা হয়।