পান্ডবেশ্বরে প্রতিরোধের মুখে জিতেন্দ্র তিওয়ারী, “গো-ব্যাক” শ্লোগান
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(পান্ডবেশ্বর), ২৫ সেপ্টেম্বরঃ
পাণ্ডবেশ্বরে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে ঘিরে বাধলো অশান্তি। চলল স্লোগান, পাল্টা স্লোগান। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
রবিবার বিকেলে কেন্দ্রা পঞ্চায়েতের ফুলবাগান এলাকায় তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছিল “বসন পড়ো মা” নামে বস্ত্রদান কর্মসূচি। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ কর্মসূচি শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ছাড়াও প্রায় পাঁচ’শ মহিলা। এই সময় ওই রাস্তা দিয়ে একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে রামনগর যাচ্ছিলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি। বিজেপি নেতার গাড়ির কনভয় দেখে সেই কনভয় আটকায় তৃণমূলের মহিলারা। তারা জানান কর্মসূচি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া যাবে না। সেই সময় জিতেন্দ্র তেওয়ারী গাড়ি থেকে নেমে জোর করে যাওয়ার চেষ্টা করলে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের সাথে জিতেন বাবু ও তার অনুগামীরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন। বচসার জেরে এলাকায় তৈরি হয় উত্তেজনা। এ সময় তৃণমূল কর্মীদের জিতেন তেওয়ারি-কে উদ্দেশ্য করে গো ব্যাক স্লোগান দিতে দেখা যায়। জিতেন তেওয়ারির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তৃণমূল কর্মীদের সাথে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলে আসে পাণ্ডবেশ্বর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পড়ে পুলিশী হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। জিতেন তেওয়ারি অন্য রাস্তা দিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যান। ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি যমুনা ধীবর জানান তাদের কর্মসূচি আগে থেকে নির্ধারিত ছিল। উত্তেজনা ছড়াতেই জিতেন তেওয়ারি ইচ্ছাকৃতভাবে ওই সময় এই রাস্তায় আসেন। তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা অত্যন্ত ভদ্রতার সাথে তাকে এই রাস্তা দিয়ে যেতে মানা করেন। কিন্তু জিতেন বাবু অযথা মহিলাদের সাথে বচসায় জড়ান। এদিন জিতেন বাবু মহিলাদের সাথে যে ভাষায় কথা বলেছেন তা বাংলার সংস্কৃতির পরিপন্থী বলে অভিযোগ করেন যমুনা বাবু। তবে এটাই প্রথম নয়, গত বিধানসভা ভোটের পর প্রথমে খোট্টারডিহি ও পরে বহুলায় জিতেন তেওয়ারিকে ঘিরে এ দিনের মতোই অশান্তি বেঁধেছিল। সে সময় জিতেন বাবু অভিযোগ করেছিলেন বাংলায় গণতন্ত্র নেই। অন্যায় ভাবে তাকে আটকানো হচ্ছে। এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে অবশ্য জিতেন তিওয়ারির কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।