ফের লটারী-কান্ড, নাম জড়ালো উপ-প্রধানের, পাল্টা অভিযোগ
আমার কথা, পূর্ব বর্ধমান(বুদবুদ), ২৫ নভেম্বরঃ
লটারিতে ১কোটি টাকা পেয়েছেন বুদবুদ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রুদ্রপ্রসাদ কুন্ডু।
যাকে নিয়ে শোরগোল পরে যায় শুক্রবার সকাল থেকে বুদবুদ এলাকা জুড়ে।
জানা গেছে বুদবুদ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রুদ্র প্রসাদ কুন্ডুর একটি লটারির দোকান রয়েছে বুদবুদ বাজারে। সেই দোকানে নিত্যদিন বহু মানুষ লটারি কাটেন। অনেকেই সেই দোকান থেকে লটারির টিকিট কেটে পুরস্কারও পেয়েছেন। সম্প্রতি ডিয়ার লটারি কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে বীরভূম জেলার তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের। বৃহস্পতিবার রাত্রে লটারি কান্ড নিয়ে একটি সর্ব ভারতীয় বৈদ্যুতিন চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারের সময় হটাৎ করে রুদ্র প্রসাদ কুন্ডু লটারিতে এক কোটি টাকার পুরস্কার পেয়েছেন, এবং অনুব্রত মন্ডলের মতোই অন্যের লটারি কিনে কালো টাকা সাদা করেছেন এমই ঘোষণা করে দেন চ্যানেলের সঞ্চালিকা।
শুক্রবার সকাল থেকেই শোরগোল পরে যায় বুদবুদ এলাকা জুড়ে।
অস্বস্তিতে পড়তে হয় তৃণমূল নেতৃত্বকে।
গলসি ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জনার্ধন চ্যাটার্জি জানিয়েছেন এই ঘটনার কথা তিনিও জানতে পেরেছেন। তিনি জানিয়েচ্ছেন রুদ্রপ্রসাদ কুন্ডুর নিজের একটি লটারির এজেন্সি রয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যদি সত্যি হয় তবে আইন আইনের পথে চলবে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সুর চড়ায় বিজেপি। বিজেপির বর্ধমান সদরের জেলা সহ-সভাপতি রমন শর্মা বলেন অনুব্রত মণ্ডল যেভাবে কালো টাকাকে সাদা করতে লটারি টিকিটের পন্থা অবলম্বন করেছেন সেই ভাবেই তার চ্যালাদের কেও তিনি কিভাবে কালো টাকা সাদা করতে হয় তার গুরু মন্ত্র শিখিয়েছেন। এরই ফলে যত দিন যাচ্ছে ততই একের পর এক তৃণমূল নেতা কর্মীদের দুর্নীতি সামনে আসছে।
এর পরে বেলা বাড়তেই বুদবুদ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান রুদ্র প্রসাদ কুন্ডু বুদবুদ থানায় লিখিত অভিযোগ জানান।
তার অভিযোগ তার নামে ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়েছে।
সে সংবাদ মাধ্যম তার বিরুধ্যে ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে তার বিরুদ্ধে তিনি আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন। তার লটারির দোকান থেকে বহু মানুষ লটারি কাটেন। অনেক মানুষ লটারিতে পুরস্কার পায়। তবে কারোর লটারির টাকা নিয়ে বা টিকিট নিয়ে তিনি কোনো দুর্নীতি করেননি বলে অভিযোগ।