স্কুলে চাকরি, অযোগ্যদের তালিকায় নাম প্রাক্তন বাম ছাত্র নেতারও
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(অন্ডাল), ২৭ ডিসেম্বরঃ
তৃণমূল আমলে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী সহ বেশ কয়েকজনের হয়েছে জেল। আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যে চাকরি গেছে মন্ত্রী কন্যা সহ অনেকের। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে গ্রুপ ডি পদে অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। তালিকায় নাম রয়েছে মোট ১৬৯৪ জনের। এরমধ্যে বর্ধমান জেলায় ১২৩ জন ও দুর্গাপুর মহকুমায় ২২ জনের নাম রয়েছে বলে সূত্রের খবর। ২০১৮ সালে যারা বিভিন্ন স্কুলে কাজে যোগ দিয়েছেন। অযোগ্যদের তালিকায় গ্রুপ ডি পদে দু’জনের নাম রয়েছে অন্ডাল ব্লকে। প্রথমজন বাপি বাগদি, দক্ষিণখন্ড হাইস্কুলের গ্রুপ ডি কর্মী। তালিকায় তার নাম রয়েছে ২৩৬ নম্বরে। অপর জন মিতা চ্যাটার্জি। গ্রুপ ডি পদে কাজ করেন উখরা কে,বি ইনস্টিটিউশন স্কুলে। তালিকায় তার নাম রয়েছে ২৬৬ নম্বরে।
উল্লেখ্য দক্ষিণখন্ড হাই স্কুলের গ্রুপ ডি পদের কর্মী বাপি বাগদির বাড়ি খান্দরা গ্রামে। এলাকায় তিনি বাম ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বাম আমলে বাপি বাবু সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এস,এফ,আই এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০০৫ সালে খান্দরা কলেজে ছাত্র সংসদ ছিল এস,এফ,আই-এর দখলে। সে সময় তিনি কলেজের জেনারেল সেক্রেটারি পদে ছিলেন। অযোগ্যদের তালিকায় তার নাম প্রকাশিত হওয়ায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। অন্ডাল ব্লকের এক তৃণমূল নেতা বলেন একেই বলে চোরের মায়ের বড় গলা। এতদিন যারা দুর্নীতি নিয়ে গলা ফাটাচ্ছিল এখন দেখা যাচ্ছে দুর্নীতির তালিকায় তাদেরও নাম। সিপিএম নেতা তুফান মন্ডল বলেন বিষয়টি বিস্তারিত জানা নেই, তবে বাপি বাবু যে দলেরই সমর্থক হন না কেন এর দায় রাজ্য সরকারেরচ। কারণ এসএসসি-র পরীক্ষা ও নিয়োগ সবই হয়েছে তৃণমূল সরকারের আমলে। রং না দেখে যারা ঘুর পথে চাকরি পেয়েছে ও যারা এই দুর্নীতির সাথে জড়িত তাদের সকলের শাস্তি হোক বলে জানান তুফান বাবু। যুব তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি কৌশিক মন্ডল বলেন বিষয়টি বিচারাধীন। তাই এই বিষয়ে মন্তব্য করবো না বলে জানান কৌশিক বাবু। বাপি বাবুর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বিষয়টি জানা নেই। একই কথা বলেন মিতা চ্যাটার্জিও। তবে সোজা পথেই চাকরি পেয়েছি বলে দাবি করেন দুজনেই।