সব ক’টি পঞ্চায়েত জিতে দিদিকে উপহার দেওয়ার আবেদন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্যের
আমার কথা, অন্দাল, ৩ জানুয়ারীঃ
“বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মহিলাদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। বিনিময়ে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে সবকটি পঞ্চায়েত জিতে দিদিকে উপহার দিন”, মঙ্গলবার খান্দরা কমিউনিটি হলে দলের মহিলা কর্মীদের কাছে এমনই আবেদন রাখলেন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ।
পঞ্চায়েত ভোটের নিঘন্ট ঘোষণা হতে এখনো ঢের দেরি। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যে তৎপরতা শুরু হয়েছে রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দল গুলির মধ্যে। ভোটকে সামনে রেখে মঙ্গলবার খান্দরা কমিউনিটি হলে পশ্চিম বর্ধমান জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠনের পক্ষ থেকে “পঞ্চায়েতী”- সভা” আয়োজিত হয়। এই কর্মসূচিতে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী তথা রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সহ সভা নেত্রী স্মিতা বক্সী,পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভানেত্রী অসীমা চক্রবর্তী, অন্ডাল ব্লক সভানেত্রী সুজাতা বসু সরকার,রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, জামুরিয়া ও পাণ্ডবেশ্বর এর দুই তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিং, নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, দলের অন্ডাল ব্লক সভাপতি কালোবরণ মন্ডল সহ অন্যরা।
এদিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মহিলাদের জন্য একগুচ্ছ প্রকল্প রূপায়ণ করেছেন। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড সহ আরো অনেক কিছু। এইসব প্রকল্পের সুবিধার ফলে আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হয়েছেন মহিলারা। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় পঞ্চায়েত ভোটে পঞ্চাশ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা সম্ভব হয়েছে। এরপরই চন্দ্রিমা দেবী বলেন “মুখ্যমন্ত্রী আমাদের জন্য অনেক কিছু করেছেন, এবার আমাদের দেওয়ার পালা। জেলার সবকটি পঞ্চায়েতে জয়লাভ করে মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার দিন আপনারা।” মানুষের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে নভেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে শুরু হয়েছিল “চলো গ্রামে যাই” কর্মসূচী।। একই ভাবে এবার “দিদির দূত” কর্মসূচী রূপায়ন ও সফল করার আহ্বান জানান উপস্থিত সংগঠনের নেতা কর্মীদের কাছে। চন্দ্রিমা দেবী বলেন পাড়ায় পাড়ায় প্রতিটি বাড়িতে যান, দিদির প্রকল্পের কথা জানান। সেই সাথে বিরোধীদের অপপ্রচারের জবাব দিন। কর্মসূচির শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চন্দ্রিমা দেবী।