দুর্গাপুরে আবাস যোজনায় স্বজন পোষণের অভিযোগ প্রাক্তন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে
আমার কথা, দুর্গাপুর, ৩ ফেব্রুয়ারীঃ
অভিনব কায়দায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা স্বজনপোষনের অভিযোগ প্রাত্তন মেয়র পরিষদ সদস্য প্রভাত চ্যাটার্জি সহ স্থানীয় তৃনমূল নেতার বিরুদ্ধে।ঘটনায় চঞ্চল্য ছড়ায় দুর্গাপুরের ১৯নং ওয়ার্ডের ভিড়িঙ্গি এলাকায়।
সূত্রের খবর, দুর্গাপুরের ১৯নং ওয়ার্ডের ভিড়িঙ্গির বাসিন্দা দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রাক্তন স্বাস্থ্য কর্মী সন্ধ্যা নায়েক প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্য দুর্গাপুর নগর নিগমে আবেদন করেন। সেই আবেদনে সাড়া পেয়ে বাড়ি তৈরির জন্য দফায় দফায় ৩ লক্ষ ৪২ হাজার ৭০০ টাকা পায়। প্রথম থেকেই ওই প্রাপক মহিলা সন্ধ্যা নায়েককে তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রভাত চ্যাটার্জি এবং বর্তমান ওয়ার্ড কনভেনার সুধীর বাউড়ি কনট্রাক্টর শিবশঙ্কর বার্ণওয়ালকে দিয়ে বাড়ি তৈরীর কথা জানায়।
ওই কন্ট্রাক্টর বাড়ি তৈরির চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করায় ওই মহিলাকে বলেও অভিযোগ।
বাড়ির তৈরি করে দেওয়ার নামে দফায় দফায় পুরো টাকা কন্ট্রাক্টর নেয় মহিলার কাছে। বাড়ির তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল ১বছর আগে তার ৬মাস পর লিনটন পযন্ত বাড়ির কাজ হওয়ার পর বেপাত্তা হয়ে যায় কন্ট্রাক্টর।
প্রাপক মহিলা সন্ধ্যা দেবীর অভিযোগ, তার পর থেকে কেউই তাদের সাথে যোগাযোগ করেনি। এমনকি তাদেরকে গুরুত্বও দিতে চাননি তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রভাত চ্যাটার্জী এবং সুধীর বাউরি। তৃণমূলের দুই দাপুটে নেতা এবং কন্ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক, নগরনিগমের কমিশনার বিধায়ক তথা মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ও মন্ত্রী মলয় ঘটকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তৃণমূল নেতৃত্বের মদতে বাড়ি সম্পূর্ণ না করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ কন্ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে।
দিকে দিকে আবাস যোজনার দুর্নীতির মাঝেই এই ঘটনা সামনে আসতেই বিড়ম্বনায় ঘাসফুল শিবির। যাকে হাতিয়ার করে রাজনীতির নামলো পদ্ম শিবির। তদন্তে মহকুমা প্রশাসন ও দুর্গাপুর নগর নিগম।
যদিও পুরো অভিযোগ অস্বীকার করে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কনভেনার সুধীর বাউরী দাবি, সন্ধ্যা দেবী তাদেরকে মিস্ত্রি দিয়ে বাড়ি করে দেওয়ার আবেদন করে। সেই মতো তারা মিস্ত্রিদের দিয়ে কাজ করানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। এখন তাদের নামে কুৎসা রটানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ।
কিছু সম্যসার জেরে কাজ সম্পূর্ণ হয়নি দ্রুত কাজ সম্পূর্ণ হবে বলেও আশ্বাস দেন কন্ট্রাকটর।
রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানান, পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না বলেও জানান তিনি।