শাসক-বিরোধী দুইয়ের হাতেই দুর্গাপুরে একই কালভার্টের দু-বার শিলান্যাস, তরজা
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১৭ মার্চঃ
একটি কালভার্ট আর সেই কালভার্টের সত্ত্ব নিয়ে তুমুল শোরগোল শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরের রাজনীতিতে। শাসক-বিরোধী দুই দলেরই প্রতিনিধির মধ্যে কালভার্টের আধিকার নিয়ে সোরগোল। দুই দলেরই প্রতিনিধিই ওই একই কালভার্টের শিলান্যাসও করে দিয়েছে আর নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের ১৫নং ওয়ার্ডের নিবেদিতা প্লেসে রয়েছে একটি বড় নালা আর স্থানীয়রা সেই নালা পারাপার করেন অস্থায়ী সেতুর উপর দিয়ে। ফলে প্রায় সময়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হতো এলাকাবাসীদের। আর ওই অস্থায়ী সেতু এড়িয়ে যেতে গেলে প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যেতে হতো। তাই তাদের বহুদিনের দাবি ছিল ওই নালার উপর দিয়ে যাতায়াতের জন্য পাকাপাকি ব্যবস্থা করে দেওয়ার। তাদের দাবি মেনে দুর্গাপুর নগর নিগম থেকে বিশাল সিং নামে এক ঠিকাদারকে বরাত দেওয়া হয়েছে ওই নালার উপর দিয়ে একটি কালভার্ট তৈরী করার জন্য। সেতুটি তৈরি করতে খরচ পরবে ৫ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা বলে জানা গিয়েছে।আর এই কালভার্টের শিলান্যাস দল একবার নয় দু-দুবার। ৮ মার্চ একবার হল শাসকদলের বিদায়ী পুরমাতা অসীমা চক্রবর্তীর হাত দিয়ে, আর পরবর্তী ১৬ মার্চ আরো একবার হল দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোরুইয়ের হাত দিয়ে। কিন্তু কেন?
বিধায়ক লক্ষ্মন ঘোরুইয়ের বক্তব্য যে,দুর্গাপুর নগর নিগম থেকে এই কাজের বরাত দেওয়া হলেও খরচের জন্য টাকা দেওয়া হবে বিধায়ক তহবিল থেকে। কিন্তু তারপরেও প্রাক্তন পুরয়াতা কি করে এই প্রকল্পের শিলান্যাস কয়র গেলেন? বর্তমান শাসকদলের এটাই সংস্কৃতি। তবে পাশাপাশি তিনি আরো বলেন যে দুর্গাপুরের উন্নয়ণের স্বার্থে সাংসদ, বিধায়ক, নগরনিগম সকলে মিলে একসাথে কাজ করবে। এটাই সংস্কৃতি হওয়া উচিত। এতদিন যখন তিনি পুরমাতা ছিলেন, দায়িত্ব পালন করেননি কেন? এখন যেই বিধয়ক কোটাতে কাজের বরাত দেওয়া হল ওমনি তিনি এসে শিলান্যাস করে দিলেন?
লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রাক্তন পুরমাতা অসীমা চক্রবর্তী বলেন, এই টাকা সরকারী টাকা। এটা কারুর ব্যাক্তিগত টাকা নয়। তাছাড়া এই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে দুর্গাপুর নগর নগমের পক্ষ থেকে। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ককে তো এলাকায় কখনো দেখাই যায় না। স্থানীয় বাসিন্দা আর ঠিকাদার আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ওই প্রকল্পের উদ্বোধন করার জন্য, তাই আমি গিয়েছিলাম।