প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্থ খনি অঞ্চলের আমচাষীরা দ্বারস্থ প্রশাসনের
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ১১জুনঃ
আমফান বিপর্যয় ও অতিরিক্ত কালবৈশাখী ঝড় বৃষ্টির কারণে এবছর আম চাষে বেড়েছে ক্ষতির আশঙ্কা। তাই ক্ষতিপূরণের আবেদন নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন আমচাষি।
এ বছর আমফান সহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে দেশে কৃষি কাজে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে চাষীদের। একই ছবি লাউদোহা তিলাবনি আমবাগানের। উল্লেখ্যঃ বেশ কয়েক বছর আগে একশ দিনের কাজের প্রকল্পে এখানে একটি আম বাগান তৈরি করে প্রশাসন। স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে সেখানে আম চাষ করা হয়। বেশ কয়েক একর এলাকাজুড়ে সেখানে রয়েছে হিমসাগর, রানী, আম্রপালি, ল্যাংড়া, চোষা, ফজলি প্রভৃত্তি বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় হাজার খানেক আম গাছ। বিক্রির জন্য বাগানে উৎপাদিত আম যেমন উখড়া, বেনাচিতি বাজারে পৌঁছে যায় তেমনি বাগান থেকে সরাসরি বিক্রি করা হয় গাছ পাকা আম। লাউদোহা পঞ্চায়েতের এই আমবাগানটি এবছর লিজ নিয়েছেন তিলাবনি গ্রামের বাসিন্দা বাপি আলি। বাগান পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে রয়েছেন চার-পাঁচজন বাগান কর্মী। বাপিবাবু জানান অন্যান্য বছর গাছ ভর্তি মুকুল হয় । এ বছর তা হয়নি । মাত্র পঞ্চাশ শতাংশ গাছে এবার মুকুল হয়েছিল, কিন্তু আমফান ও অতিরিক্ত কালবৈশাখী ঝড় বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ মুকুল ও ছোট আম ঝরে যায়। তাই এবার আমের ফলন কম হয়েছে বলে দাবি করেন বাপিবাবু। তিনি জানান বাগানটি নিজের জন্য এক লক্ষ আশি হাজার টাকা লেগেছে। সেইসাথে কীটনাশক ও বাগান রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিযুক্ত কর্মীদের বেতন ও আছে। উৎপাদিত আম থেকে এবার তাই লাভের আশা নেই। ক্ষতিপূরণের দাবিতে তিনি প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। বাপিবাবু জানান পঞ্চায়েতে ক্ষতিপূরণের আবেদন করেছি। লাউদোহা পঞ্চায়েতের প্রধান পিনাকী মুখোপাধ্যায় বলেন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে গোটা দেশেই এবছর কৃষিকাজ ও ফলনে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে চাষীরা। ক্ষতিপূরণের আবেদন পেয়েছি জানিয়ে বিষয়টি মানবিকতার সঙ্গে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।