দলনেত্রীর নির্দেশকে ‘ড্যাম কেয়ার’, বেসরকারী কারখানায় গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তাল সগড়ভাঙ্গা
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ১২জুনঃ
করোনা আবহের মাঝেই সব ভুলে শুধুমাত্র ক্ষমতার রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে ফের গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন। তার জেরে ভাঙ্গচুরও চালানো হল কারখানার ভেতরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছতে হয় বিশাল পুলিশবাহিনী
ঘটনার সুত্রপাত আজ অর্থাৎ শুক্রবার সকালে। ওই কারখানার গেট বন্ধ করে দিয়ে তাতে কালো পতাকা লাগিয়ে দেয় এক গোষ্ঠী। এর কিছু সময় পর আই এন টি টি ইউ সির জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের অনুগামী কয়েকজন গিয়ে সেই কালো পতাকার পাশে দলের পতাকা লাগিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠতে পারে এই আশঙ্কা থেকেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কমব্যাট ফোর্স সহ বিশাল পুলিশবাহিনী। পরবর্তী ঘটনাকে ঘিরে আজ সারাদিনে এক ন্যক্কারজনক ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল শিল্পনগরী। অনুগামী সহ দলবল নিয়ে কারখানার গেটে পৌঁছন জেলা সভাপতি। জানা গেছে ওই দলে ছিলেন বেশ কয়েকজন কাউন্সিলারও। এরপর বিশ্বনাথবাবু কারখানায় ঢুকতে গেলে বাধা পান বলে অভিযোগ আর দলের জেলা সভাপতিকে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে গেটের সামনে বসে পড়েন তিনি।
বিশ্বনাথবাবু বলেন যে যারা দলের সভাপতিকে কালো পতাকা দেখায় তাঁরা দলের কেউ দলের নয়। বিশ্বনাথবাবু নাম না করে বলেন শালা, ভগ্নিপতি ও জামাইবাবু মিলে এই কারখানায় স্থানীয়দের কাজে ঢুকতে দিচ্ছে না। টাকা নিয়ে তাঁরা বহিরাগতদের কাজে ঢোকাচ্ছে। অপরদিকে, ওই কারখানার অপর গোষ্ঠীর এক সমর্থক অবিনাশ ঘোষের অভিযোগ, বিশ্বনাথ পাড়িয়াল ও তার অনুগামীরা কারখানার গেট ভেঙ্গে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। সাইকেল, গাড়িতে ভাঙ্গচুর চালিয়ছেন। কারখানার ঐতিহ্য নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন।
তবে এদিনের এই ঘটনায় কারখানার সমস্ত কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ব্যাহত হয় উৎপাদন। দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বার বার হুশিয়ারী দিয়ে বলেছেন যে, কারখানায় কোনো জঙ্গী আন্দোলন চলবে না। সাথে তিনি এও নির্দেশ দিয়েছেন যে কারখানার ভেতর একটিই গোষ্ঠী থাকবে। কিন্তু দলনেত্রীর সেই নির্দেশকে অমান্য করে বারংবার সগড়ভাঙ্গার এই কারখানায় যেভাবে গোষ্ঠী সংঘর্ষে দেখা দিচ্ছে তাতে দলনেত্রীকে “ড্যাম কেয়ার” এরকমই যেন ইঙ্গিত বহন করছে আজকের এই ঘটনা বলে মনে করছেন শিল্পাঞ্চলের রাজনৈতিক মহল।