নিখোঁজ মহিলার কঙ্কাল উদ্ধার দুর্গাপুরের জঙ্গল থেকে
আমার কথা, দুর্গাপুর, ৫ মে:
জঙ্গলের ভেতর থেকে উদ্ধার কঙ্কাল, আর তাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো দুর্গাপুরের ইস্পাতপল্লী এলাকায়। আজ ভোরে ইস্পাতপল্লী এলাকায় জঙ্গলে কাঠ কুড়োতে গিয়ে সেখানে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। বি-জোন ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে জঙ্গলের ভেতর থেকে একটি মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার করে। কঙ্কালটির পরনে একটি ছেঁড়া পচে যাওয়া শাড়ি জড়ানো ছিল। হাতে শাখা পলা ছিল।
এদিকে এপ্রিলের ২০ তারিখে ওই এলাকার সরস্বতী যাদব(৫৬) নামে এক মহিলা নিখোঁজ হয়ে যান। বি-জোন ফাঁড়িতে ওই মহিলার নিখোঁজের ডায়েরীও করা হয়েছিল পরিবারের তরফে। ওই কঙ্কালটির পরনের শাড়ি ও চটি দেখে কঙ্কালটি সরস্বতীদেবীর বলে সনাক্ত করে তার পরিবার।
সরস্বতীদেবীর পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে, তার স্বামী বলিয়া যাদবের দুটি বিয়ে। প্রথম স্ত্রী প্রমিলা যাদব। তার কোনো সন্তান না হওয়ায় প্রমিলাদেবীর বোন সরস্বতীদেবীকে বিয়ে করেন পেশায় রাজমিস্ত্রি বলিয়া যাদব। সরস্বতীদেবীর দুটি ছেলে রয়েছে। তারা পেশায় রঙ মিস্ত্রি।
প্রমিলাদেবী জানান সরস্বতীদেবী পরিচারিকার কাজ করতেন। ২০ এপ্রিল তার সাথে বোনের কথা কাটাকাটি হয়। তারপরেই ঘর থেকে চলে যান সরস্বতীদেবী। পরিবারের লোকজন ভাবেন তিনি হয়ত কাজে গেছেন। কিন্তু বিকেল হয়ে যাওয়ার পরেও না ফেরায় চারিদিকে খোঁজ করা হয়। কিন্তু খোঁজ না মেলায় বি-জোন ফাঁড়িতে মিসিং ডায়েরী করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও খোঁজ মেলেনি সরস্বতী দেবীর। এতদিন পর শেষে জঙ্গল থেকে উদ্ধার হল তাঁর কঙ্কাল।
উল্লেখ্য: সরস্বতীদেবী দীর্ঘদিন ধরে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের আওতায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান সরস্বতীদেবী আত্মঘাতী হয়েছেন। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য কঙ্কালটি দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।