উখরা পঞ্চায়েতে ২ নির্দল প্রার্থীর বাজিমাত
আমার কথা, অন্ডাল, ১১ জুলাই:
অন্ডালের উখরা পঞ্চায়েতে ২ নির্দল প্রার্থী সুলতা দাস, শেখ সমীর দু’জনেই তৃণমূল করতেন, দল টিকিট দেয়নি, ক্ষোভে দাঁড়িয়ে ছিলেন নির্দল প্রার্থী হিসেবে। জিতেছেন দুজনেই। উখরা পঞ্চায়েতের ঘটনা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবার শাসক দলের টিকিট না পেয়ে তিনজন কংগ্রেসে একজন সিপিএমে ও অপর দুজন নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন উখরা পঞ্চায়েত এলাকায়। অন্যরা পরাজিত হলেও নির্দল দুই প্রার্থীর শিঁকে ছিঁড়েছে কপালে। জিতেছেন দুজনেই ঘাসফুল প্রার্থীদের হারিয়ে। জয়ী প্রার্থীরা হলেন একজন সুলতা দাস, অপরজন শেখ সমীর।
গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১১ নম্বর আসনে রথতলা এলাকায় “আম”- প্রতীকে নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন সুলতা দেবী । স্বামী তৃণমূল কংগ্রেসের দীর্ঘ দিনের কর্মী । উখরা এলাকায় শাসক দলের ঘোষিত প্রার্থীর তালিকায় নাম ছিল সুলতা দেবীর । মনোনয়নের পর ঘাসফুল প্রতীকে শুরু করেছিলেন প্রচার । কিন্তু এরপর একই সংসদে পাপিয়া দাস নামে অপর একজন মনোনয়ন করেন । তিনিও জোড়া ফুল প্রতীকের প্রার্থী বলে প্রচার শুরু করেন এলাকাতে, যানিয়ে কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয় বিভ্রান্তি । শেষমেষ পাপিয়া দাসকে প্রতীক দেয় দল । নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়েন সুলতা দেবী । মঙ্গলবার গণনা শেষে জয়ী বলে জানানো হয় সুলতা দেবীকে । তিনি পান ১৭৫ টি ভোট, ১৫৭ ভোট পান পাপিয়া দেবী । সুলতা দেবী জয়ী হন কুড়ি ভোটে । প্রার্থী তালিকায় নাম ঘোষণার পর শেষ মুহূর্তে দল প্রতীক না দেওয়াই মুষরে পড়েছিলাম । কোনরকম প্রচার ছাড়াই মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে জয়ী করেছে বলে জানান সুলতা দেবী ।
অপরদিকে ২১৪ নম্বর সংসদের শফিকনগর এলাকায় দলের প্রতীক না পেয়ে নির্দলে দাঁড়ান শেখ সমীর । লড়েন শিশু কোলে মায়ের প্রতীকে । সমীর বাবুর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী শেখ জাকির । জাকির বাবু পঞ্চায়েতের বিদায়ী সদস্য, ফলে লড়াই ছিল কঠিন । ভোটের দিন সমীরবাবুকে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে দেখা যায়নি । তার নিরুদ্দেশ নিয়ে ছড়িয়েছিল জল্পনা । তবে শেষ হাসি হাসেন সমীরবাবু-ই । তিনি জয়ী হোন ৬১ ভোটে । জয়ী ২ নির্দল প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেন কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা । যদিও ভোট শেষে দলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সাফ জানান দলীয় নির্দেশ, নির্দলদের কোনোভাবেই দলে নেওয়া যাবে না।