দুর্গাপুরে গণতন্ত্রের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১৩ আগস্ট:
২০১৭ সালের ১৩ আগস্ট দুর্গাপুরে পুরভোটে অবাধ ভোটলুট হয়েছে। সাধারন মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ভিন জেলা থেকে হার্মাদ বাহিনী এনে তৃণমূল ভোট লুট করে পুরসভার দখল নিয়েছে। এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। সেই পুরবোর্ডের মেয়াদও শেষ হয়েছে প্রায় বছর অতিক্রান্ত। বিরোধীরা থেকে থেকেই দুর্গাপুরে সরব হচ্ছে পুরভোটের জন্য। আজ সেই দিন ২০১৭ সালে দুর্গাপুর নগর নিগমের নির্বাচন হয়েছিল। এই দিনটিকে দুর্গাপুরের কালো দিন আখ্যা দিয়ে জেলা কংগ্রেসের নেতৃত্বে এক অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচী নিতে দেখা গেল। দুর্গাপুরের পাঁচ মাথা মোড়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক শ্রাদ্ধানুষ্ঠান ও প্রায়শ্চিত্তাদির আয়োজন করতে দেখা গেল। সেখানে গণতন্দ্রের আত্নার শান্তি কামনা করে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করা হল বলে জানালেন কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী। দেবেশবাবু জানান, এই দিনে বছর ছয়েক আগে তৎকালীন আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি, মন্ত্রী মলয় ঘটক, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের নেতৃত্বে পুলিশকে দলদাসে পরিণত করে তাদের সাহায্যে দুর্গাপুরে পুরভোটে গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছিল, গনতন্ত্র ধর্ষিতা হয়েছিল। এদের দৌলতে দুর্গাপুরে একে একে কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। নতুন কোনো কর্মসংস্থান হয়নি। তাই সেই গণতন্ত্রের অতৃপ্ত আত্মা চারিদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তার আত্নার শান্তি কামনায় বিধি মেনে এই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে৷ এদের মধ্যে কিছু জন আবার ঘর বদলেছে। কিছুজনকে আবার ইডি, সিবিআই তলব করেছে। তাদের সকলের আত্মার শান্তিতেই আজ এই কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই কামনা করছি যাতে দুর্গাপুরের মানুষ আবার যাতে সঠিকভাবে ভোট দিতে পারে। এই শহরে যাতে আবার শিল্প আসে, নতুন করে কলখানা তৈরী হয়।
এদিনের অনুষ্ঠানে খাওয়ানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।