খনি অঞ্চলে মিনি কার্নিভাল, বিসর্জনের আগে মিলনমেলা
আমার কথা, লাউদোহা, ২৫ অক্টোবর:
প্রতি বছরের মতো এবছরও প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে শোভাযাত্রা ও মিলনমেলা আয়োজিত হল গৌরবাজার গ্রামে। শোভাযাত্রা দেখতে ভিড় জমিয়ে ছিল প্রায় হাজার দশেক জনতা।
রাজ্যের সর্বত্র দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জনের রেওয়াজ থাকলেও দুর্গাপুর-ফরিদপুর (লাউদোহা) ব্লকের গৌরবাজার গ্রামে প্রতিমা বিসর্জন হয় একাদশীর দিন। প্রায় আড়াইশো বছর ধরে গ্রামে এই রেওয়াজ চলে আসছে। সেই পরম্পরা মেনে বুধবার শোভাযাত্রা ও মিলন মেলার সমাপ্তির পর সম্পূর্ণ হল প্রতিমা বিসর্জন পর্ব। আকর্ষণীয় এই অনুষ্ঠানটি হয় গৌরবাজার বাস স্টেশন সংলগ্ন “ঠাকুরঘুরো” মাঠে। গ্রামের ১১ টি দুর্গা প্রতিমা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী গোগলা, কাঁকসা সহ আরও দুটি প্রতিমা এই আয়োজনে যোগ দেয় । এদিন বেলা তিনটে নাগাদ এক একটি করে ১৫-টি প্রতিমা পৌছাই “ঠাকুরঘুরো” মাঠে। সেখানে প্রতিমা গুলির একে অপরের সাথে মিলন হয়, তাই একে বলা হয় মিলন মেলা। এরপর শুরু হয় শহুরে কার্নিভালের মত সুদৃশ্য শোভাযাত্রা। অন্যান্য বছরের মতো এবারও মিলন মেলা ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠান দেখতে মাঠে ভিড় জমিয়ে ছিল প্রায় দশ হাজারেরও বেশি জনতা। স্থানীয়দের পাশাপাশি এসেছিলেন পার্শ্ববর্তী বীরভূম জেলার প্রচুর সংখ্যক দর্শনার্থী।
গৌরবাজার পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হরেন্দ্রনাথ পাল, স্থানীয় বাসিন্দা উৎপল দত্তরা জানান অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে দলমত নির্বিশেষে একটি কমিটি। তাদের তত্ত্বাবধানেই অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়। সহযোগিতা করে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও লাউদোহা থানার পুলিশ।