ত্রিকোণ প্রেমের জেরের বলি কি সিমরন? কাঁকসায় খুনের ঘটনায় গ্রেফতার স্থানীয় যুবক
আমার কথা, কাঁকসা, ৭ জানুয়ারি:
পানাগড়ের রেলপারের বাসিন্দা সিমরন সহ ৩জনের খুনের ঘটনায় এবার গ্রেফতার হলো রেলপারের সারদাপল্লীর এক যুবক। ধৃতের নাম শেখ জুনেদ ওরফে পাপ্পু। ধৃতকে রবিবার দুপুর ১টা নাগাদ মহকুমা আদালতে পেশ করে কাঁকসা থানার পুলিশ।
ধৃতের পানাগড় ও রাজবাঁধে দু জায়গায় দুটি বাড়ি আছে।
শনিবার গভীর রাতে পানাগড়ের রেলপাড়ের সারদাপল্লীর বাড়ি থেকে জুনেদকে গ্রেফতার করে কাঁকসা থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত: গত নভেম্বর মাসের ১০ তারিখে পানাগড়ের রেল পাড়ের বাসিন্দা রাজা বিশ্বকর্মার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সিমরণ বিশ্বকর্মা(২৩),
সীতা দেবী(৭০),ও সনু বিশ্বকর্মার(২১) মৃতদেহ।
ঘটনার দিন সিমরনের বাবা ধনঞ্জয় বিশ্বকর্মা তার স্ত্রীকে নিয়ে আসামে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ছোট মেয়ে সিমরন বাড়িতেই ছিলেন। সিমরনের দিদিমা সীতাদেবী ও মামা সোনু ঝাড়খন্ড থেকে তাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। সিমরনের কাকিমা রিঙ্কি বিশ্বকর্মা বাড়িতে কাজ করছিলেন। নভেম্বর মাসের ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ হেলমেট পরে বাইকে করে এক ব্যাক্তি বাড়িতে আসে। কিছুক্ষণ পর আবার বেরিয়ে চলে যায়, এমনটাই জানিয়েছিলেন সিমরণের কাকিমা রিঙ্কি।
ঘটনার দিন দুপুর বারোটা নাগাদ প্রতিবেশীরা সোনুকে বাড়ির উঠোনে বাকিদের ঘরের ভেতরে তাও আলাদা আলাদা ঘরে খাটের উপর মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। কে বা কারা কি কারনে খুন করেছে ওই তিন জনকে তা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়।
ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করার পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে নেমে একাধিকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এর পর ফোনের সূত্র ধরে প্রায় দেড় মাস পর চলতি মাসের ২তারিখে রাতে সিমরণের কাকিমাকে গ্রেফতার তারিখে কাঁকসা থানার পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ মহম্মদ জুনেদের নাম জানতে পারে।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, জুনেদের সাথে সিমরণের কাকিমা রিঙ্কির অবৈধ সম্পর্ক ছিল। একই এলাকার বাসিন্দা হওয়ার কারণে জুনেদের ঘনঘন যাতায়াত ছিলো তাদের বাড়িতে। এদিকে রিঙ্কির পাশাপাশি একই সঙ্গে সিমরণের সাথেও সম্পর্ক তৈরী করেছিল জুনেদ।
এরই মধ্যে জুনেদ সিমরণকে বিয়ে করার মনস্থির করে বসে। পুলিশের অনুমান জুনেদের থেকে সিমরণকে দূরে সরাতেই হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
অন্যদিকে ঘটনার দিন বাড়িতে আরও দুইজন উপস্থিত থাকায় সাক্ষী লোপাট করতে তাদেরকেও খুন করা হয় এমনটাই অনুমান পুলিশের।
তবে এই ঘটনার সাথে আরও অনেকে যুক্ত থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের।