পান্ডবেশ্বরে অনুষ্ঠানে এসে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব উস্কে দিলেন বিজেপি নেতা জিতেন তিওয়ারি
আমার কথা, পান্ডবেশ্বর, ২১ জানুয়ারি:
সুজিত মুখার্জির ব্লক সভাপতি পদ থেকে অপসারন প্রসঙ্গ তুলে শাসক দলের অন্দরে দ্বন্দ্ব উসকে দিলেন বিজেপি নেতা জিতেন তেওয়ারি। যদিও সুজিত বাবু জানান মমতা ব্যানার্জিকে দেখে দল করি, দলে আছি, তৃণমূল দলেই থাকবো ।
রবিবার দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের ঝাঁঝরা গ্রামে বিজেপি দলের পক্ষ থেকে একটি বস্ত্রদান অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি। এদিন এলাকার শতাধিক দুঃস্থ মহিলার হাতে দলের পক্ষ থেকে নতুন বস্ত্র উপহার দেওয়া হয়। বস্ত্রগুলি মহিলাদের হাতে তুলে দেন জিতেন বাবু। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের একাংশের কাছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে মন্তব্য করে বিতর্ক উসকে দেন তিনি, বলেন কয়েকদিন আগেই সুজিত মুখোপাধ্যায়কে তৃণমূল ব্লক সভাপতি পদ থেকে অপসারিত করেছে। এই সুজিত মুখার্জি গত বিধানসভা ভোটে পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রে আমাকে হারানো এবং তৃণমূল প্রার্থী নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে জেতানোর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের বিভিন্ন বুথে ভোটারদের বাধ্য করেছিলেন তৃণমূল প্রতীক চিহ্নে ছাপ দেওয়ার জন্য। স্বচ্ছ ভোট হলে পাণ্ডবেশ্বর কেন্দ্রে পদ্মফুল প্রতীকে আমার জয় সুনিশ্চিত ছিল, তৃণমূল প্রার্থী জিততে পারত না। অন্যায় ভাবে তিনি জিতেছেন এবং তার এই বাঁকা পথে জয়ের পেছনে মূল কান্ডারী ছিলেন সুজিত বাবু। অথচ তাকেই ব্লক সভাপতি পদ থেকে অপসারিত হতে হল। এর থেকে প্রমাণ হয় একবার কাজ হাসিল হলেই তৃণমূল দলে তার আর কোন মূল্য থাকে না। কাজ ফুরিয়ে গেলে তাকে ছুঁড়ে ফেলে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। সুজিত মুখার্জির অপসারণ তারই বড় প্রমাণ বলে দাবি করেন জিতেন বাবু।
অন্যদিকে ব্লক সভাপতি পদ থেকে অপসারিত তৃণমূল নেতা সুজিত বাবু বলেন আমি এখন ব্লক সভাপতি পদে নেই, তবে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদে রয়েছি। অন্য কাউকে নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে দেখে দল করি। তাই পদ না থাকলেও দলেই আছি, আগামী দিনও দলে থাকবো। এতদিন যে কোন ভোটে দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে যেভাবে চেষ্টা করেছি, আগামী দিনেও সেভাবেই কাজ করব বলে জানান সুজিত বাবু।