বিরূপ প্রকৃতির মধ্যে শুরু মাধ্যমিক, চিন্তায় ছাত্র ছাত্রী অভিভাবকরা
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ২ ফেব্রুয়ারী:
ঠিক যে ভয়টা পরীক্ষার্থী থেকে শুরু করে অভিভাবকরা করেছিলেন তাই হল। ভোর থেকেই প্রকৃতি মুখ ঢেকেছে কুয়াশার চাদরে। এক হাত দুরের কোনো কিছুই ঠিক মতো দেখা যাচ্ছে না। এমতবস্থায় বলতে গেলে এক প্রকার প্রাণ হাতে করে যেতে হচ্ছে পরীক্ষা কেন্দ্রে।
২০২৪ চলতি বর্ষের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু আজ থেকে। এ বছরে পরীক্ষার সময়সূচীতে পরিবর্তন করা হয়েছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে। অন্যান্য বার মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হতো বেলা ১১.৪৫ মিনিটে আর শেষ হতো বেলা ৩টের সময়। কিন্তু এ বছর থেকে সেই সময় পরিবর্তিত হয়ে দাঁড়িয়েছে সকাল ৯.৪৫ মিনিট থেকে, যা শেষ হবে বেলা ১টায়। সকাল ৮.৩০ এর পর থেকে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে আর শিক্ষক-শিক্ষিকা আর শিক্ষাকর্মীদের পরীক্ষা শুরুর দুঘন্টা আগে অর্থাৎ ৮টার মধ্যে কেন্দ্রে ঢুকে পড়তে হবে। কিন্তু পরিবর্তিত নতুন সময় নিয়ে ঘোরতর আপত্তি তোলা হয় পরীক্ষার্থী সহ অভিভাবকরা। তাদের অভিযোগ ছিল এই শীতের দিনে এত সকালে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছোনোটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে। কারন পরীক্ষাকেন্দ্র নিজেদের বাড়ি থেকে দুরেই পরে। গণযানবাহনে করে সেখানে পৌঁছোতে হবে। এই শীতের সকালে ঠিক মতো যানবাহন পাওয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাছাড়া এখন প্রায় সময়ই সকালে কুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারিদিক। ফলে বাস ট্রেন চলাচলে বিলম্ব হচ্ছে। তাইনএই সময়সূচী নিয়ে পর্ষদের কাছে আবেদনও জানানো হয়েছিল। শুধু তাই নয় উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি৷
যদিও নতুন সময়সূচী নিয়ে পর্ষদের যুক্তি হল সকালে রাস্তাঘটে যানজট কম থাকে। তাছাড়া দুপুরের মধ্যেই পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার দরুন তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে ছাত্রছাত্রীরা পরবর্তী পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে অনেকটা সময় পাবে আর শিক্ষকমহলদেরও পরীক্ষা পরবর্তী কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরতে দেরি হয়ে যেতো। এদিকে জীবনের প্রথম এই বড় পরীক্ষা তাও আবার প্রথম দিনেই প্রকৃতির এই বিরূপ অবস্থায় বেশ ফাঁপড়েই পরেছে পরীক্ষার্থীরা। তবে পরীক্ষার্থীদের সুবিধা অসুবিধা দেখার জন্য দুর্গাপুর মহকুমা শাসক সৌরভ চ্যাটার্জি নিজে বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্র গুলি পরিদর্শন করেন।