খনিকর্মীর অস্বাভাবিক মৃতুর রহস্যভেদ, বাবাকে খুনের দায়ে গ্রেফতার ছেলে
আমার কথা, উখড়া, ৭ ফেব্রুয়ারী:
চাকরির লোভে বাবাকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছিল ছেলে। পুলিশি তদন্তে উঠে এলো এরকমই চাঞ্চল্যকর সত্য। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অবশেষে গ্রেপ্তার করা হলো ছেলেকে। ঘটনাটি উখরা ফাঁড়ির চনচনি কোলিয়ারি এলাকার।
গত ২৩ শে জানুয়ারি মঙ্গলবার বাঁকোলা সুভাষ কলোনি সংলগ্ন জঙ্গলে থেকে উদ্ধার হয় এক খনি কর্মীর মৃতদেহ। দেহটি উদ্ধার হয় একটি গাছের ডালে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায়। জানা যায় মৃতদেহটি এতোয়ারী মিঁঞা(৫৯) নামে এক খনি কর্মীর। চনচনি কোলিয়ারিতে কাজ করতেন ওই ব্যক্তি। পরিবার নিয়ে থাকতেন খনি আবাসনে। সেদিন পরিবার সূত্রে দাবি করা হয়েছিল রবিবার বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি এতোয়ারী বাবু। খোঁজাখুঁজির পর তার সন্ধান না পাওয়ায় ওইদিন রাতেই উখড়া ফাঁড়িতে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। দুদিন পর মঙ্গলবার তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হলেও মৃতদেহের মুখে গভীর ক্ষত চিহ্ন থাকায় মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয় সন্দেহ। মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পুলিশ নিশ্চিত হয় খুন করে ওই ব্যক্তিকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যাতে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হয় সবার। তদন্তে পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বাবার মৃত্যু নিয়ে ছেলে আব্দুল হাকিমের কথা বার্তাতে অসংলগ্নতা লক্ষ্য করে তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার রাতে বাবাকে খুনের অভিযোগে অবশেষে ছেলে আব্দুল হাকিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মৃত ব্যক্তির আর কয়েক মাস চাকরির মেয়াদ ছিল। চাকরি থাকা অবস্থায় বাবার মৃত্যু হলে সে চাকরি পাবে এই ধারণা থেকেই ছেলে আব্দুল হাকিম তার বাবা এতোয়ারী মিয়াকে খুন করেছে বলে তদন্তকারীদের সন্দেহ। আজ বুধবার ধৃত আব্দুল হাকিমকে দুর্গাপুর কোর্টে পেশ করবে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বাবাকে খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে ছেলের গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনাই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাতে।