সংখ্যালঘু সেলের সভার দিয়ে আসানসোলে নির্বাচনী প্রচার শুরু তৃণমূলের
আমার কথা, আসানসোল, ৩ মার্চ:
আসানসোল উত্তর বিধানসভার অন্তর্গত রেলপার বাবুয়াতালাও অঞ্চলে রবিবার তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের এক সভা আয়োজিত হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল উত্তর বিধান সভার বিধায়ক ও রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা, তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন চক্রবর্তী তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের পক্ষ থেকে এম মোশারফ সহ আরো অনেকে। তবে সংখ্যালঘু সেলের জন্যে সভা আয়োজিত হলেও লোকসভা নির্বাচনের আগে এদিন থেকেই স্থানীয় অঞ্চলে রাজনৈতিক প্রচার সভা শুরু করে দেয় তৃণমূল। স্বাভাবিক ভাবেই লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রার্থীপদ ও জয় পরাজয়ের বিষয়গুলি উঠে আসে এদিনের সভায়, যেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন,গত উপনির্বাচনে তিনলাখ ভোটে জিতে আসানসোল থেকে তৃণমূলের সাংসদ হয়েছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। দলের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি এবারেও তাঁকে আসানসোল থেকে প্রার্থী করেছেন। কিন্তু তিনলাখ ভোটের ব্যবধানে এই জয়লাভে বিরোধীরা তাদের প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছেনা। বিজেপি গতকাল তাদের আসানসোল কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করলেও, আজকেই সেই প্রার্থী নিজি কারণ দেখিয়ে প্রার্থীপদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, যা প্রকারান্তরে তৃণমূলের জয়। তবে সভা শেষে এদিনের মঞ্চ থেকেই এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। যেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন এবারে জয়ের ব্যবধান তিনলাখ থেকে বেড়ে এক নতুন ইতিহাস রচনা করবে। শত্রুঘ্ন সিনহা আসানসোলের সাংসদ ছিলেন, আগামীদিনেও থাকবেন। অন্যদিকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন চক্রবর্তী বলেন প্রার্থীপদ ঘোষণার পরেই শত্রুঘ্ন সিনহার অশ্বমেধের ঘোড়া আসানসোল কেন্দ্রের সর্বত্র চষে বেড়িয়েছে। জনসাধারণ তৃণমূলের সাথেই আছে। বিরোধীরা তাদের পায়ের তলার মাটি খুঁজে পাচ্ছে না। অন্যদিকে প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, বিজেপির প্রার্থীপদ ঘোষণার পরেই প্রতিদ্বন্দ্বিকে তিনি রাজনৈতিক ময়দানে তৃণমূলের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসাবে খেলা হবে বলে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেই রবিবার সকালে পবন সিং ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। বিষয়টি তার ও তার দলের আভ্যন্তরিন বিষয়। এই বিষয়ে তৃণমূল দলের অন্যান্য নেতারা প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন। তার নিজের এই বিষয়ে কিছু বলার নেই। তবে মমতা ব্যানার্জি অন্যান্য কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণার আগে দিল্লী থেকেই প্রথম তার নাম ঘোষণা করেছিলেন। তাই জয়ের বিষয়ে তিনি সুনিশ্চিত।