আসানসোল কেন্দ্রে পবন সিং এর পরিবর্তে কি অক্ষরা সিং হবেন পদ্মফুল প্রার্থী ?
আমার কথা, আসানসোল, ৪ মার্চ:
আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে ভোজপুরি গায়ক পবন সিংহের পরিবর্তে কি অক্ষরা সিং হবেন বিজেপির প্রার্থী ? নাকি অন্য কেউ! তা নিয়ে শুরু হয়েছে পদ্মফুল শিবিরে জোর জল্পনা।
শনিবার বাংলায় ৪২ টি লোকসভা আসনের মধ্যে কুড়িটি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। এর মধ্যে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল ভোজপুরি গায়ক পবন সিং এর নাম। ঘোষণার পর প্রার্থীর সমর্থনে দেওয়াল লেখাও শুরু করে দিয়েছিল বিজেপি নেতা কর্মীরা। কিন্তু সোমবার সাত সকালে পবন সিং নিজের এক্স হান্ডেলে টুইট করে প্রার্থী পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন। তাঁর আচমকা এই ঘোষণাতে হতবাক হয় বিজেপি শিবির। তার পরিবর্তে এই কেন্দ্রটিতে কে হবেন বিজেপি প্রার্থী তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করা হোক প্রথম থেকেই এটা চাইছেন ঘাসফুল শিবিরের একাংশ। স্থানীয়দের মধ্যে জোরালো দাবীদার রয়েছেন দু’জন জিতেন্দ্র তেওয়ারি ও অগ্নিমিত্রা পাল। স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হচ্ছে দলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল। রাজনীতির বাইরে জনপ্রিয় কোন মুখকে প্রার্থী করলে সেই সমস্যা এড়ানো যায়। এই ভাবনা থেকেই ভোজপুরি গায়ক পবন সিং কে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শীর্ষ নেতৃত্ব বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। কিন্তু তিনি পিছুটান দেওয়াই এখন তার পরিবর্তে কে হন শুরু হয়েছে সেই আলোচনা। আগামী ৬ তারিখ দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে পদ্ম শিবিরের। সম্ভবত ওই দিনই নতুন নাম চূড়ান্ত হবে। এবার স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করা হবে, নাকি বহিরাগত ফর্মুলাতেই সিলমোহর দেবে দল ? এর উত্তর জানা যাবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর। তবে জিতেন্দ্র তেওয়ারি, অগ্নিমিত্রা পালদের পাশাপাশি আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে ভাসছে আরও একটি নাম। সেই নামটি হচ্ছে অস্করা সিং। পবন সিংহের মতো অক্ষরা সিংও ভোজপুরি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে গায়িকা হিসাবে পরিচিত নাম। ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি ভোজপুরি কুইন নামে পরিচিত। জন্মসূত্রে মুম্বাইয়ের হলেও অক্ষরা কর্মক্ষেত্র ভোজপুরি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে হিন্দিভাষী ভোটারদের কথা ভেবেই পবন সিংকে প্রার্থী করেছিল দল। হিন্দি ভাষী ভোটারদের কথা মাথায় রেখে অক্ষরা সিংকে দল প্রার্থী করতে পারে বলে ধারণা জেলা বিজেপির একাংশের। যদিও বিজেপি দলের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে এই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।