দুর্গাপুর পশ্চিমের দায়িত্বে সুভাষ, বিশ্বনাথ পাড়িয়াল সরলেন দায়িত্ব থেকে?
আমার কথা, দুর্গাপুর, ২২ মার্চঃ
বিতর্কের শেষ নেই যেন দুর্গাপুরে। বিগ বাজেটের একটি টুর্নামেন্টের ট্রফি উন্মোচন নিয়ে সকাল থেকে বিতর্কের মধ্যে পড়েন তৃণমূল প্রার্থী আবার সেই প্রার্থীর জয়ে ঘুঁটি সাজাতে গিয়ে নতুন এক বিতর্ক উস্কে দিয়ে গেলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ফেব্রুয়ারী মাসে দক্ষিণবঙ্গ সফরে বেরিয়ে ২৬ তারিখে রাত্রিযাপনে এসে দুর্গাপুরের দলীয় সংগঠনকে মজবুত করতে সাথে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রটিকে পুনরুদ্ধার করতে দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রটি দেখাশুনার দায়িত্ব দিয়ে যান তৃণমূল নেতা বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের হাতে। কিন্তু মাস পেরোনোর আগেই আবার সেই দায়িত্ব থেকেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল বলে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে কানাঘুষো শোনা যায় রাজনৈতিক মহল থেকে। আর সেই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় অপর এক প্রাক্তন বিধায়ক তথা দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বর্তমান চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডলের হাতে। আর এই বিষয়টি চাউড় হতেই নানা জল্পনা দানা বাঁধতে শুরু হয় দুর্গাপুরে।
বৃহস্পতিবার প্রার্থীর সমর্থনে সংঠনকে সাজাতে দুর্গাপুরে আসেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বিধানভবনে দলীয় কর্মী ও সংগঠনের নেতৃত্বদের সাথে নিয়ে সাড়েন একটি বৈঠক। গত লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার মধ্যে দুর্গাপুরের দুটি বিধানসভাতে হেরে যান তৃণমূল প্রার্থী। এই হারের কারন নিয়ে পর্যালোচনা করতে গিয়ে এদিন নরমে গরমে ছিলেন মন্ত্রী। প্রাক্তন কাউন্সিলরদের ধমক দেন সাথে এলাকার উন্নয়ণের খতিয়ানের কৈফিয়তও চান তিনি। এরপরে তিনি শ্রমিক সংগঠনের আভ্যন্তরীন দ্বন্দ্ব নিয়ে নেতৃত্বদের সতর্ক করে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার নির্দেশ দেন, সাথে ধীরে চলার বার্তা দেন শ্রমিক সংগঠনগুলিকে। আর তারপরেই দুর্গাপুর পশ্চিমের দেখাশুনার দায়িত্ব বিশ্বনাথ পারিয়ালের হাত থেকে সুভাষ মন্ডলের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে দলীয় সুত্রে জানা যায়। বৈঠক শেষে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য লোকসভা নির্বাচনে সবাই একসাথে মিলেমিশে কাজ করে বিপুল ভোটে কীর্তি আজাদকে জয়লাভ করানো। গত ২০১৯ এর নির্বাচনে এই লোকসভা কেন্দ্রটির অন্তর্গত পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রতে ঘাস ফুল ফুটলেও দুর্গাপুরের আসন দুটিতে হার হয় তৃণমূলের আর তার অন্যতম কারন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে জানা যায়। সেই দ্বন্দ্ব মিটিয়ে একসাথে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে দুর্গাপুর পশ্চিমের দায়িত্ব দেন বিশুকে দলনেত্রী। কিন্তু গোষ্টী কোন্দল কমা তো দুরঅস্ত, উলটো তা আরো প্রকট হয়ে উঠছিল। তাহলে কি আর একা বিশ্বনাথে আস্থা রাখতে পারছিল না শীর্ষ নেতৃত্ব?
সুভাষ মন্ডলের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি সরাসরি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। ঘুরপথে জানান, “আমাদের এখন পাখির চোখ ওই কেন্দ্রটিতে তৃণমূলের পতাকা ওড়ানো। তার জন্য সকলকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। সেখানে আমি, বিশ্বনাথ পারিয়াল, ব্লক সভাপতি, কাউন্সিলর সকলে মিলেই এই লড়াইটা করবো।”, কিন্তু এ বিষয় বিশ্বনাথ পারিয়ালের প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য ফোন করা হলে তিনি ফোনটি ধরেননি।