“হয় বিজেপির সাথে যুক্ত হতে হবে, আর নয়ত ঢুকতে হবে জেলে- বিস্ফোরক কীর্তি
আমার কথা, দুর্গাপুর, ২৪ মার্চঃ
“হয় বিজেপির সাথে যুক্ত হতে হবে, আর নয়ত জেলে ঢুকতে হবে”- এভাবেই বিজেপিকে আক্রমণ করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। তিনি বলেন, অজিত পাওয়ার যার নামে ৭০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ মোদী নিজে করেছিলেন সেই তিনি যখন বিজেপির সাথে গাঁটছড়া বাধলেন, সাথে সাথে মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গেলেন। অশোক চহ্বন,যার নামে শহীদের বিধবা স্ত্রীর ফ্ল্যাট হজম করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল, তাঁর বিজেপি যোগে পুরষ্কার রাজ্যসভার আসন প্রাপ্তি। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, যিনি আবার টাকা নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত, বিজেপির ছোঁয়ায় তিনি এখন আসামের মুখ্যমন্ত্রী। অথচ কেজরিওয়ালের মন্ত্রী (মনীশ সিসোদিয়া) এতদিন গ্রেফতার হয়েছেন, অথচ তাঁর বিরুদ্ধে কিন্তু কোনো অভিযোগ প্রমান হয়নি। একইভাবে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও গ্রেফতার হয়েছে, অথচ তাঁর বিরুদ্ধেও কোনো অভিযোগ প্রমান হয়নি। তাহলে কি বিজেপি ওয়াশিং মেশিন? যেখানে যুক্ত হতে পারলেই সবাই অভিযোগ থেকে পার পেয়ে যায় অথচ বিরোধীদের শুধু গ্রেফতারই হতে হয়।
রাজ্যে শুভেন্দু অধিকারীর উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, যার টাকা নেওয়ার ভিডিও সর্বসমক্ষে এসেছে, অথচ তাঁর বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত হচ্ছে না। অথচ বিজেপি বিরোধীদের বিরুদ্ধে চলছে লাগাতার অভিযান।
তিনি এও বলেন, আসলে বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। তাই বুঝতে পারছে না কি করবে। নির্বাচনের আগে ইডি সিবিআইকে ব্যবহার করছে বিজেপি। রাজ্যে যেভাবে ইডি সিবিআইয়ের অভিযান চলছে সেই প্রসঙ্গে বিজেপিকে কতাক্ষ করে কীর্তি আজাদ বলে, উনুনে কাঠের কড়াই বার বার ব্যবহার করলে যেমন আগুনে জ্বলে যায়, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিরও সেই দশাই হতে চলেছে। মোদির ৪০০ আসনের পাওয়ার দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেখানে মমতা ব্যানার্জি এক সঙ্গে ৪২টি আসনেরই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছেন সেখানে ওরা প্রার্থীই খুঁজে পাচ্ছে না। গত বিধানসভা ভোটে ২০০ আসন পাওয়ার দাবি করে শেষে ১০০ ও পেরোয় না। এবার আবার লোকসভা ভোটে ৪০০ আসনের দাবি জানাচ্ছে। যদিও তাঁরা নিজেরাই এখনও ৪০০ আসনে প্রার্থীই দিতে পারেনি। তাহলে ৪০০ আসন পাবে কি করে?
এইভাবে অধিকার যাত্রা নিয়ে দুর্গাপুরে শনিবার এক কর্মী সম্মেলনে বিজেপিকে তুলোধনা করেন কীর্তি আজাদ। পাশাপাশি তিনি জিতলে বিভিন্ন স্থানীয় সমস্যা নিয়ে মানুষের পাশে থাকবেন এবং সংসদে সেই বিষয়গুলি উত্থাপন করবেন তার আশ্বাসও দেন।
এদিন দুর্গাপুরের বিধানভবনে কর্মী সম্মেলনে প্রার্থীর সাথে উপস্থিত ছিলেন দুই বর্ধমান জেলার নেতৃত্ব। চগিলেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় সহ আরো অনেকে।
এদিন অধিকার যাত্রা প্রসঙ্গে মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের যে বঞ্চনা তা মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তুলে ধরার জন্যই রাজ্য জুড়ে চলবে এই অধিকার যাত্রা।