বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে কীর্তি আজাদের সাথে সম্মুখ সমরে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ
আমার কথা, দুর্গাপুর, ২৪ মার্চঃ
দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাংলার বাকি আসনগুলিতে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলো ভারতীয় জনতা প্রার্থী। রবিবার রাতে দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে ঘোষণা করা হল এই রাজ্যের বাকি ২০টি আসনের প্রার্থীর নাম। অন্যান্য লোকসভা কেন্দ্রগুলির সাথে সাথে এদিন নাম ঘোষণা করা হল বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নাম। এই কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে ভোট ময়দানে নামতে চলেছে দিলীপ ঘোষ।
এই আসনটিতে ইতিমধ্যেই তৃণমূল আর বামেরা প্রার্থী দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বিজেপির কে প্রার্থী হবে তা নিয়ে বেশ জল্পনা চলছিল। শিল্পাঞ্চলে নাম ঘোরাফেরা করছিল আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের নাম। এর মধ্যেই একদিন আচমকা অগ্নিমিত্রার সমর্থণে দেওয়াল লিখনও হয়ে গিয়েছিল। যদিও পরে তা মুছেও দেওয়া হয় দলের তরফে। তারপরেই সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ দিলীপ ঘোষের নাম এলো এই কেন্দ্রটির জন্য। গত লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রটিতে তৃণমূল প্রার্থী ডাঃ মমতাজ সংমিতাকে পরাজিত করে জয়লাভ করেছিলেন বিজেপির সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া।
দিলীপ ঘোষ বিজেপির রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন এক সময়। বর্তমানে তিনি বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি পদে রয়েছেন। গত লোকসভা নির্বাচনে তিনি মেদিনীপুরে দাঁড়িয়েছিলেন এবং জয়লাভও করেছিলেন। এবারেও তিনি মেদিনীপুর থেকেই দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে দাঁড় করানো হল এক সময়ের বিজেপিরই এক প্রাক্তন সাংসদ তথা বর্তমানে তৃণমূল প্রার্থী মারকুটে ক্রিকেট খেলোয়াড় কীর্তি আজাদের বিপক্ষে। অন্যদিকে তার ওই আসনটিতে প্রার্থী করা হল অগ্নিমিত্রা পালকে। এদিকে এই রাজ্যে দিলীপ ঘোষ একজন দাপুটে নেতা হিসেবে বেশ চর্চিত। ডাকাবুকো এই বিজেপি নেতা প্রায় সময়ই নানা তীর্যক মন্তব্যের জন্য চর্চায় থাকেন। তবে আসন বদলের পর দিলীপ ঘোষ বলেন “যেখানে যাই জেতার জন্যই যাই। আর বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনটিও বিজেপি জেতা আসন, আর ওই জেতা আসনে এবার অনেক ব্যবধানে জিতবো।” অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী কোর্তি আজাদ বলেন, “এই কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া মানুষের জন্য কোনো কাজ করেননি। তার দেখাই পাওয়া যেতো না। তার নামে নিখোঁজের পোস্টারও দিয়েছিলেন মানুষজন। তাঁরা নিরাশ হয়ে গেছেন। আমাকে নয়, এই কেন্দ্রের মানুষজন মমতা ব্যানার্জিকে দেখে ভোট দেবেন। তাঁরা তৃণমূল নেত্রীর ওপর ভরসা রাখছেন। তাই দিলীপ ঘোষকে নিয়ে আমার ভাবার কোনো দরকারই নেই। আমি বরাবর ব্যাট চালিয়ে খেলতে ভালবাসতাম। আমার বাউন্ডারি ওভার বাউন্ডারি দেখতে মানুষ পছন্দ করতো। এবার ভোটেও আমি ওভার বাউন্ডারিই হাঁকাবো”। ফলে রাজনৈতিক মহলে এখন বেশ চর্চা চলছে যে কীর্তি আজাদ বনাম দিলীপ ঘোষের লড়াইটা হবে বেশ হাড্ডাহাড্ডি।