মিড ডে মিলে অন্য নজীর, স্কুলেই মাশরুম চাষ, খাচ্ছে পড়ুয়ারা
আমার কথা, আসানসোল, ১ এপ্রিলঃ
মাঝে মধ্যেই যখন স্কুলের মিড ডে মিল নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে চর্চা হয়, তখন এই মিড ডে মিল নিয়েই এক অন্য নজির গড়লো চিত্তরঞ্জনের একটি স্ক্লুল। স্কুলে মাশরুম চাষ আর সেই মাশরুমের সবজি দুপুরের মিডডে মিলের খাবারের পাতে দেওয়া হয় সপ্তাহে দুই দিন। চিত্তরঞ্জনের পূর্ব আমলাদহী ৬-এর পল্লী নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে। স্কুলের প্রায় ৮০জন পড়ুয়ার দুপুরের মিডডে মিলের খাবারের থালায় থাকে সপ্তাহে দুই দিন এই পুষ্টিকর খাবার। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ঝর্ণা মন্ডল বলেন তিনি অনেক দিন থেকে ভাবছিলেন স্কুলের পড়ুয়াদের মিড ডে মিল খাবারে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর ব্যাপার। যদিও সপ্তাহে একদিন ডিম, সয়াবিন, মাসে একদিন মাংস দেওয়া হয়। সাথে পড়ুয়াদের পছন্দ মতো সবজি রান্না হয় এই মিড ডে মিলে। সপ্তাহে একদিন ফল খাওয়ানো হয়। তবু তিনি পুষ্টিকর খাবার আরো কি ভাবে দেওয়া যায় আর তার পরেই মাশরুম চাষ চাষের বিষয়টি মাথায় আসে। বিষয়টি স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে আলোচনা করেন। এর পর মাশরুম প্রশিক্ষক নির্মল মন্ডলের কাছে মাশরুম চাষের পদ্ধতি শিখে স্কুলে মাশরুম চাষ শুরু করেন। প্রথমে প্লাস্টিকবাগে খড়কেটে সেগুলো চুন জলে ধুয়ে হালকা গরম জলে ফুটিয়ে নিয়ে খড়গুলো ব্যাগে সাজিয়ে মাশরুম বীজ দিয়ে উপর থেকে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ঔষুধ দিয়ে, এর পর ৩-৪টি স্তরে সাজানোর পর অন্ধকার ঘরের মধ্যে কিছুদিন রেখে দিলেই মাশরুম তৈরী হয়ে যায়। তবে নিয়মিত জল দিতে হয়। এই মাশরুম চাষ আটটি ব্যাগে করা হয়েছে। সম্পূর্ণ টাকাটি শিক্ষক শিক্ষিকা মিলে ব্যায় করেছেন।এই বিদ্যালয়ে এক শিক্ষক সহ তিন শিক্ষিকা রয়েছেন। তবে আগামী দিনে আরো আরো মাশরুম চাষ বাড়ানোর কথা ভাবছেন তাঁরা। মিড ডে মিলের পাতে মাশরুম পড়ুয়ারাও খেতে খুব ভালো বাসে।