দুর্গাপুর এনআইটি-তে ছাত্রের রহস্য মৃত্যু, উত্তেজনা ক্যাম্পাসে
আমার কথা, আসানসোল, ২৮ এপ্রিলঃ
এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় রবিবার আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় দুর্গাপুরের এনআইটিতে। ব্যান্ডেলের বাসিন্দা অর্পণ ঘোষ(২২) নামে ওই ছাত্র ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে পাঠরত ছিলেন।
অর্ণবের সহপাঠীদের থেকে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে পরীক্ষা ছিল অর্পণের। পরীক্ষা দিয়ে হস্টেলে ফিরে আসে অর্পণ। সেই সময় হস্টেলে কেউ ছিল না। কিছু সময় পর অর্পণের সহপাঠীরা যখন হস্টেলে ফেরে তখন অর্পণের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়। সাথে সাথে অর্পণের সহপাঠীরা তাঁকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ক্যাম্পাসের ভিতরে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসক চিকিৎসা শুরু না করে আগে আই কার্ড দেখতে চান বলে অভিযোগ। এদিকে আই কার্ড আনতেও দেরি হয়। পরে আই কার্ড দেখে বাইরের হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন চিকিৎসক। এদিকে খবর যায় থানাতেও। দুর্গাপুর থানার পুলিশ যায় কলেজে। অর্পণকে গান্ধী মোড়ের একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে জানান। পড়ুয়াদের অভিযোগ, যথা সময়ে কলেজ ক্যাম্পাসে কোনো অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় হাসপাতালে নিতেও বিলম্ব হয়।
এদিকে ঘটনার পরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে কলেজ ক্যাম্পাসে। ছাত্ররা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা ডিরেক্টরের পদত্যাগের দাবি জানাতে থাকেন। তাদের অভিযোগ, পড়াশুনার পাশাপাশি চাকরি নিয়ে অত্যধিক মানসিক চাপ তৈরী হচ্ছে তাদের মধ্যে।
এখন প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি অর্পণ এই মানসিক চাপ নিতে পারছিল না? সে কি আত্মঘাতী হয়েছে, নাকি অর্পণের মৃত্যুর পিছনে রয়েছে অন্য কোনো ঘটনা? যদিও ঘটনাস্থল থেকে কোনো সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে।
দুর্গাপুর এনআইটির ডিরেক্টর অরবিন্দ চৌবে জানান, “রক ছাত্র কলেজের ভেতর আত্মহত্যা করেছে যা অত্যন্ত দু:খজনক ঘটনা। তবে কি কারনে ছাত্রটি আত্মঘাতী হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে অ্যাম্বুলেন্স না থাকার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।