দুর্গাপুরে বাম প্রার্থীর প্রচারের বক্তব্যে বিতর্কের মুখে কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি
আমার কথা, দুর্গাপুর, ৫ মেঃ
প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে এসে নিজের বক্তব্যে নিজেওই বিতর্ক তৈরী করলেন শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরের কংগ্রেস নেতা তরুন রায়। শুধু তাই নয়, আবেগতাড়িত হয়ে কেঁদেও ফেলেন কংগ্রসের এই প্রাক্তন জেলা সভাপতি। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের রঘুনাথপুরে। রবিবার ওই এলাকায় বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সুকৃতি ঘোষালের সমর্থণে একটি জলসত্রের আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে আসেন তরুনবাবু। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তরুনবাবু তাঁর রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারন করতে শুরু করেন। সেই প্রসঙ্গের মাঝেই তিনি বামেদের অসংখ্য গণহত্যার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। বলেন কিভাবে বাম আশ্রিত হার্মাদবাহিনী অসংখ্য কংগ্রেস কর্মীদের হত্যা করেছে। তাঁর প্রসঙ্গে উঠে আসে মরিচঝাঁপির উদ্বাস্তুদের উপর নৃশংস হত্যাকান্ডের রোমহর্ষক বর্ণনা, একই সঙ্গে পরবর্তী কালে কলকাতার বিজন সেতুতে ১৭ জন আনন্দমার্গী সাধুকে জীবন্ত দগ্ধ করে খুন করার ঘটনা, ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই কলকতার শহীদ মিনারে পুলিশের গুলিতে ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মীর নিহত হবার ঘটনা, স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বারবার তাঁর সতীর্থ কংগ্রেসী ভাই বন্ধুদের অকালে সিপিএম আশ্রিত সমাজবিরোধীদের হাতে নিহত হবার হৃদয় মোচড়ানো ঘটনাগুলির কথা ঘুরে ফিরে আসে।নন্দিগ্রাম, নেতাইয়ের গণহত্যার পাশাপাশি তরুণ বাবু বর্ধমানের কুখ্যাত সাঁইবাড়ির গণহত্যার কথা তুলে ধরেন।কিভাবে সিপিএম এর পাষন্ড জল্লাদ বাহিনী সদ্য খুন হওয়া পুত্রের রক্তমাখানো ভাত তাঁদের মাকে খেতে বাধ্য করেছিল, সেই বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি তরুণ বাবু। আর এই ঘটনাকে ব্যাকঙ্গ করে তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি উত্তম মুখার্জি বলেন, “জোটের ঘোঁটে পড়ে গিয়েছেন তরুনবাবু। কংগ্রেস্কে বাধ্য হয়ে সিপিএমকে সমর্থণ দিতে হচ্ছে। তাই তরুনবাবু সত্যিটাকে চেপে রাখতে পারেননি। তাঁর মুখ দিয়ে বামেদের অত্যাচারের কথা বেরিয়ে এসেছে।”