হয় পুনর্বাসন নয় আদালত, ডিটিপিএস কর্তৃপক্ষকে হুঁশিয়ারী সাংসদের
আমার কথা, দুর্গাপুর, ৭ জুনঃ
ডিটিপিএস এর নতুন ইউনিট তৈরীর জন্য জমি পুনরুদ্ধারে নেমেছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই দখলদারদের উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই জমি যারা দখল করে এর বছর ধরে বসবাস করছে তাদের কোনো পুনর্বাসন দেওয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ডিভিসির চেয়ারম্যান। কারখানা সম্প্রসারনকে স্বাগত জানালেও পুনর্বাসন দেওয়া হবে না এই বিষয়টি নিয়ে মানতে নারাজ নব নির্বাচিত সাংসদ কীর্তি আজাদ এবার পদক্ষেপ নিলেন। ইতিমধ্যেই তিনি ডিটিপিএস কর্তৃপক্ষকে পুনর্বাসনের আবেদন জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। তবে যদি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মেনে না নেয় তাহলে তাদের আদালতে নিয়ে যাওয়ারও হুশিয়ারী দিয়ে রাখলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের নব্য সাংসদ।
প্রসঙ্গতঃ ১৯৬৬ সালে দুর্গাপুরে গড়ে ওঠে দুর্গাপুর ভ্যালি কর্পোরেশনের অন্তর্গত এই ডিটিপিএস তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র্টি। প্রায় বছর তিনেক ধরে উৎপাদনহীন হয়ে পড়ে রয়েছে। সম্প্রতি ডিভিসি কর্তৃপক্ষ ৮০০ মেগাওয়াট সম্পন্ন একটি ইউনিট তৈরীর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সেই মতো মায়াবাজার, ডিটিপিএস কলোনী সহ সংলগ্ন এলাকার দখলদারদের জমি ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ দেওয়া হয় কর্তৃপক্ষের তরফে। এদিকে ইউনিট গড়ার কাজকে স্বাগত জানালেও পুনর্বাসন ছাড়া জমি ছাড়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় ‘দুর্গাপুর ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরক্ষা কমিটি’র পক্ষ থেকে। যদিও অনড় কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই ডিটিপিএসের আবাসনে জল ও বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। প্রতিবাদে লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকে প্রায় ১৭০ জন দখলদার অনশনে বসেছেন। অনশনকারীদের মধ্যে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে ইতিমধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এইসব পরিস্থিতি দেখে সাংসদ কীর্তি আজাদ ডিভিসির চেয়ারম্যানকে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে একটি চিঠি লিখেছেন। শুক্রবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে সাংসদ জানান, সুপ্রিম কোর্টে পুনর্বাসন সংক্রান্ত নির্দিষ্ট রায় রয়েছে। সেই রায় উলঙ্ঘন করলে কর্তৃপক্ষকে আদালতে নিয়ে যাবো আর তাতে ওনাদেরই অসুবিধা হবে। তাই আমরা ভালো করেই বিষয়টি নিয়ে ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি যে, আপনারা কারখানা করুন। তাতে অনেক মানুষের কাজের জায়গা তৈরী হবে। কিন্তু যারা বছরের পর বছর ওই জায়গাগুলিতে বসবাস করছেন তাদের পুনর্বাসন দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। রাজ্য সরকার আপনাদের পাশে থাকবে।