জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়েও হল না শেষ রক্ষা, গ্রেফতার রানীগঞ্জে ডাকাতিতে অভিযুক্ত এক
আমার কথা, আসানসোল, ১০ জুন:
দিন পার হওয়ার আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়লো রানীগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার সাথে যুক্ত এক দুষ্কৃতি। রবিবার সন্ধ্যেবেলা গিরিডি থেকে জখম একজনকে ধরে, যাকে আজ সোমবার আসানসোল জেলা আদালতে তোলা হয়। বাকিরা এখনও অধরা।
প্রসঙ্গতঃ রবিবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ ৭-৮ জনের এক সশস্ত্র ডাকাতের দল রানীগঞ্জের একটি প্রসিদ্ধ সোনার দোকানে ডাকাতি করতে ঢোকে। সেই সময় ওই এলাকাতেই কাজে গিয়েছিলেন জামুড়িয়ার শ্রীপুর ফাঁড়ির আইসি মেঘনাথ মন্ডল। তিনি জানতে পেরে ওই দোকানের সামনে যান। একা রুখে দাঁড়ান দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। দুপক্ষের মধ্যে চলে গুলির লড়াই।পুলিশের গুলিতে জখম হয় একজন। যদিও পালাতে সক্ষম হয় ডাকাতের দলটি। এরপর আসানসোলে চক্রবর্তী মোড়ের কাছে এদের মধ্যে চারজন দুষ্কৃতি একটি চার চাকা গাড়িকে দাঁড় করায় এবং তাদের কোনো হাসপাতালে পৌঁছে দিতে বলে। দুর্গাপুরের বাসিন্দা ওই গাড়ির মালিক নয়ন দত্ত তার পরিবার নিয়ে আসানসোলের দিকে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তিনি ওই দুষ্কৃতিদের গাড়িতে তুলতে অস্বীকার করলে দুষ্কৃতিরা নয়নবাবুকে গুলি করে গাড়িটি নিয়ে চম্পট দেয়। এদিকে পুলিশ পশ্চিম বাংলা ঝাড়খন্ড সীমান্তগুলিতে নাকা তল্লাশী আরো জোরদার করে তোলে। সাথে দুষ্কৃতিদের গতিবিধির খোঁজ করতে শুরু করে। বিভিন্ন জায়গায় সিসিটভি ফুটেজ দেখতে শুরু করে। খবর দেওয়া হয় পার্শ্ববর্তী রাজ্যের পুলিশকেও।
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি(সেন্ট্রাল) ধ্রুব দাস জানান, “সুত্র মারফত খবর পেয়ে গিরিডি পুলিসকে সাথে নিয়ে ঝড়খন্ডের সরিয়া জঙ্গল থেকে সুরজ সিংকে গ্রেফতার করে। সাথে উদ্ধার হয় নয়ন দত্তের গাড়িটি, কিছু কার্তুজ ও ডাকাতি করা কিছু সোনার গয়না। ধৃতকে সোমবার আসানসোল জেলা হাসপাতালে তোলা হয় ১৪ দিনের পুলিশী হেফাজতের আবেদন জানিয়ে। ধৃত সুরজ সিং বিহারের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। তবে একজন ধরা পড়লেও বাকিরা এখনো অধরা। কোন পথে তারা পালিয়ে যেতে পারে তা খোঁজ খবর করছে পুলিস।