পুলিশের জালে এবার রানীগঞ্জের ডাকাতির মাস্টার-মাইন্ড
আমার কথা, আসানসোল, ১১ জুন:
সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সুরজ সিং এর পর এবার ধরা পড়ল মূল চক্রী সোনু সিং। মঙ্গলবার তাকে পেশ করা হয় আসানসোল জেলা আদালতে, বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
রবিবার দুপুর বেলায় রানীগঞ্জ বাজারে একটি প্রসিদ্ধ সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেদ। সাতজনের ডাকাত দল অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দোকানে লুটপাট চালায়। ডাকাতির ঘটনা আঁচ করে ডাকাত দলকে চ্যালেঞ্জ জানায় শ্রীপুর ফাঁড়ির আই.সি মেঘনাথ মন্ডল। তিনি একাই রুখে দাঁড়ান সাতজন দুষ্কৃতীর সামনে। উভয় পক্ষের মধ্যে চলে গুলির লড়াই। আইসির গুলিতে ডাকাত দলের এক সদস্য আহত হন। দোকান থেকে চুরি করা সোনা ব্যাগে ভরে ও আহত সঙ্গীকে সাথে নিয়ে দুটি বাইককে চড়ে এলাকা থেকে চম্পট দেয় ডাকাত দলটি। যাওয়ার সময় একটি মোটর বাইক, দুটি জামা কাপড় ভর্তি ব্যাগ প্যাক , ৪১ রাউন্ড কার্তুজ, একটি ম্যাগাজিন, দোকান থেকে লুট করা সোনা ভর্তি একটা ব্যাগ ফেলে পালায় দলটি। আসানসোলের মহিশীলা কলোনির চক্রবর্তী মোড় এর কাছে একটি চার চাকার গাড়ি ছিনতাই করে দলটির চারজন সদস্য। বাইক ফেলে তারা ওই গাড়িটিতে চড়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে পালিয়ে যায়। ওই দিনই সন্ধ্যা বেলায় ঝাড়খণ্ডের সরিসা থানা এলাকা থেকে দুষ্কৃতী দলের সদস্য সুরজ সিং কে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেপ্তার হন ডাকাত দলের মূল চক্রী সোনু সিং। ধৃত দুজনই সম্পর্কে আত্মীয় এবং বিহারের সেওয়ানের বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই সোনু সিং ডাকাতির সময় পুলিশের গুলিতে আহত হয়। গুলি লাগে তার শরীরের পেছন দিকে কোমরের উপর অংশে। প্রথমে ধানবাদ ও পরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে সোনুকে ভর্তি করে পুলিশ। মঙ্গলবার পুলিশ তাকে পেশ করে আসানসোল আদালতে। মূল চক্রীর ধরা পড়াকে বড়সড় সাফল্য হিসেবে দেখছে পুলিশ। ঘটনার দিন ধরা পড়া দুষ্কৃতি সুরজ সিং পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। মূলচক্রী সোনুকে ও হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।