দুর্গাপুরে প্রভিডেন্ট ফান্ডের দফতরে তুমুল বিক্ষোভ
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১৩ জুনঃ
প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা পাচ্ছেন না দুর্গাপুর কেমিক্যালস এর অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। এই অভিযোগে দুর্গাপুরের প্রভিডেন্ট ফান্ড দফতরের এক আধিকারিককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন এই সংস্থার কর্মীরা।
রাজ্য সরকারের অধীনস্থ দুর্গাপুর কেমিক্যালস লিমিটেড। বিধাননগরে অবস্থিত এই কারখানাটিতে ব্লিচিং পাউডার ও হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড তৈরি হতো। বাজারে চাহিদাও ছিল এই কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের। ২০১৯ সালে কারখানাটিতে পাকাপাকি ভাবে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় দূষণের দায়ে। বর্তমানে এই কারখানায় স্থায়ীও অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় শ’পাঁচেক কর্মী রয়েছেন। কিন্তু তাদের অভিযোগ এই কারখানা থেকে যারা অবসর নিচ্ছেন তাঁরা প্রভিডেন্ট ফান্দের টাকা পাচ্ছেন না, ফলে সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে। কারোর এক বছর তো কারোর ছ’মাসের টাকা আটকে রয়েছে প্রভিডেন্ট ফান্ডের দফতরে। এই বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ বলছেন প্রভিডেন্ট ফান্ডের ঘরে সময় মতো টাকা জমা করেছেন তাঁরা। একমাত্র দুর্গাপুরের প্রভিডেন্ট ফান্ডের দফতরের কর্তারাই বলতে পারবেন কেন টাকা আটকে রয়েছে। এদিকে প্রভিডেন্ট ফান্ডের দফতরে বার বার গিয়েও মিলছে না ফল।
শেষে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে। বৃহস্পতিবার সিটিসেন্টারে প্রভিডেন্ট ফান্ডের দফতরে যান এই কারখানার অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। তাঁরা আধিকারিকদের ঘিরে তুমুল ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এমনকি দফতরের মুল দরজার সামনে তাঁরা বসে পরেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে এনাদের সাথে বিক্ষোভে সামিল হন কারখানার কর্মরত কর্মীরাও। পাশাপাশি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পেনশন উপভোক্তা অভিযোগ করেন যে, নিজের প্রাপ্য টাকা পাওয়ার জন্য এখানে ঘুষও দিতে হয়।
কি কারনে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা আটকে রয়েছে সেই বিষয়ে প্রথমে কিছু বলতে রাজী হন না এক আধিকারিক। পরে জানান, প্রযুক্তিগত একটি সমস্যা হয়েছে, তবে খুব তাড়াতাড়ি তা মিটে যাবে। আগামী পনেরো দিনের মধ্যে সমস্যা মেটয়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন ওই দফতরের এক পদস্থ আধিকারিক সুধীর রঞ্জন।