গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারনে পঞ্চায়েত দপ্তরে তালা
আমার কথা, অন্ডাল, ১৯ জুন:
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েতের সদর দরজাতে তালা ঝুলিয়ে দিলেন কয়েকজন সদস্য। অভিযোগ ভিত্তিহীন, সমস্যা মিটে গেছে বলে দাবি করলেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।
বুধবার অন্ডাল ব্লকের খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সদর দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য। যা নিয়ে পঞ্চায়েত অফিস চত্বরে তৈরি হয় উত্তেজনা। তালা বন্ধ অবস্থায় দপ্তরের ভিতরে বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকেন পঞ্চায়েতের কর্মীরা। বেশ কিছুক্ষণ পর তালা খুলে দেওয়ার পর মুক্ত হন তারা।
পঞ্চায়েত সদস্য সুমিতা বাউড়ি, সত্যম নন্দী-রা জানান তারাই অফিসের সদর দরজায় তালা দিয়েছিলেন। তাদের অভিযোগ এলাকায় পানীয় জল নেই। পঞ্চায়েত থেকে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। পঞ্চায়েত সদস্য হিসাবে সংসদের বাসিন্দাদের কাছে অপমানিত হতে হচ্ছে আমাদের। প্রধানকে সমস্যার কথা জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। পাশাপাশি তারা একগুচ্ছ দুর্নীতির কথাও তুলে ধরেন। বলেন জল সরবরাহের জন্য টেন্ডার হয়েছে কিন্তু কে টেন্ডার পেয়েছে, কিভাবে পেল? প্রধানের কাছে জানতে চাইলে তা আমাদের জানানো হয়নি। প্রধান অপর্ণা বাদ্যকরে বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে তারা বলেন প্রধান বেলা দুটোর পর পঞ্চায়েত অফিসে আসেন। ফলে সাধারণ মানুষ পরিষেবা না পেয়ে ফিরে যায়। মিটিংয়ে কয়েক জন পঞ্চায়েত সদস্যকে ডাকা হয় না। অনেক কিছু বিষয়ে তাদের এড়িয়ে চলা হয়। সেই কারণে এদিন তালা ঝোলানো হয়েছে বলে জানান সত্যম বাবু। পঞ্চায়েত প্রধান অপর্না বাদ্যকরের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে উপপ্রধান গণেশ বাদ্যকর বলেন দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন। ব্যক্তিগত ক্ষোভের কারণে কয়েকজন এদিন পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়েছিল। তাদের সাথে কথা বলে সমস্যা মিটে গেছে বলে দাবি করেন গণেশ বাবু।
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এদিন পঞ্চায়েত দপ্তরে তালা মারার ঘটনাটি ঘটে বলে মত স্থানীয়দের একাংশের। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ।