ডিএ আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষক আসেন না স্কুলে, আসেন টিভিতে, বিক্ষোভ অভিভাবকদের
আমার কথা, লাউদোহা, ২০ জুনঃ
শিক্ষক ডিএ আন্দোলন নিয়ে ব্যস্ত, তাঁকে টিভিতে দেখা যায়। স্কুলে না এসেই বেতন নেন এমন অভিযোগে ধবনি গ্রামের অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখালো অভিভাবকদের একাংশ।
বৃহস্পতিবার সকালে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের প্রতাপপুর পঞ্চায়েতের ধবনি গ্রাম অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় অভিভাবকদের একাংশ। ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে এদিন বিদ্যালয়ের গেটের সামনে জড়ো হন অনেক অভিভাবক। তাঁরা জোর করে বিদ্যালয়ের ভেতর ঢুকতে চাইলে বাধা দেন স্কুলের অন্য শিক্ষিকারা। তাদের সাথে অভিভাবকদের বচসা বাধে, যার জেরে ছড়ায় উত্তেজনা। পুলিশ এসে সামাল দেয় পরিস্থিতি। বিক্ষোভকারীদের পক্ষে পম্পা পাত্র, সোমনাথ চ্যাটার্জিরা বলেন এই বিদ্যালয়ে দু’জন শিক্ষিকা ও ভাস্কর ঘোষ নামে একজন শিক্ষক রয়েছেন। ভাস্কর বাবু সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ সংগঠনের নেতা। তিনি বেশ কিছু দিন ধরে ডিএ আন্দোলন নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। তাকে কলকাতায় মিটিং মিছিলে দেখা যায়, টিভিতে দেখা যায়, কিন্তু স্কুলে ওই শিক্ষককে দেখা যায় না। তিনজন শিক্ষক শিক্ষিকার মধ্যে একজনের অনুপস্থিতির কারণে স্কুলে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে। ছেলে মেয়েদের পড়াশুনো শিঁকেই উঠেছে। বিদ্যালয়ে না এসেও ঐ শিক্ষক নিয়মিত বেতন তুলছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।
অভিভাবকদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তানিয়া চ্যাটার্জী সহশিক্ষক ভাস্কর ঘোষের পক্ষে দাঁড়িয়ে বলেন তার বিরুদ্ধে স্কুলে না এসে বেতন তোলার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। শিক্ষকেরা বছরে ১৮০ দিন লিভ পান। ভাস্করবাবু ১৪২ দিন লিভ নিয়েছেন। যেদিন যেদিন উনি স্কুলে আসেননি সেদিনের বেতন উনি নেননি। তাই এই অভিযোগ মিথ্যা।
যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই ভাস্করবাবু বলেন তৃণমূল নেতাদের প্ররোচনায় বহিরাগতদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সংগঠিত করা হয়েছে। বলেন ১৬-ই মে পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের সিডিপিও দপ্তরের ডেপুটেশন কর্মসূচির দিন অন্যদের সাথে আমাকেও মারধর করা হয়েছে। পরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়। আদালত থেকে আমি জামিন পাই। যেহেতু আমি ডিএ আন্দোলনের সাথে যুক্ত তাই তৃণমূল নেতারা ভয় পেয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।