দুর্গাপুর থেকে নিখোঁজ নাবালিকা উদ্ধার, গ্রেফতার দাদা বৌদি সহ ৩
আমার কথা, দুর্গাপুর, ৩০ জুনঃ
পুলিশের তৎপরতায় অবশেষে উদ্ধার হল দুর্গাপুরের নাবালিকা স্নেহা দাস। বর্ধমান থেকে উদ্ধার হয় ওই নাবালিকা। সাথে গ্রেফতার করা হয়েছে নাবালিকার জ্যেঠতুতো দাদা, বৌদি ও দাদার এক বন্ধু। ধৃতদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
দুর্গাপুরের বেনাচিতির নতুনপল্লীর বাসিন্দা স্মেহা গত বৃহস্পতিবার স্কুলে যাওয়ার জন্য সকাল ১০টায় বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু স্কুল ছুটির পরেও বাড়ি না ফেরায় চিন্তিত স্নেহার পরিবার নানা দিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। স্নেহার সন্ধান না পেয়ে পুলিশের কাছে মিসিং ডায়েরী করা হয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করে। নানা সুত্র ধরে তদন্তে পুলিশ জানতে পারে বর্ধমানে রয়েছে স্নেহা। এরপর শনিবার বর্ধমান থেকে স্নেহাকে উদ্ধার করে। সাথে গ্রেফতার করা হয় ঋক দাস নামে যুবক। ঋক দাস দুর্গাপুরের রাঁচী কলোনীর বাসিন্দা।
পুলিস সুত্রে জানা গিয়েছে, ঋক স্নেহার জ্যাঠতুতো দাদা মিলন দাসের বন্ধু। জানা গিয়েছে স্নেহার জ্যেঠতুতো দাদা মিলন যূথিকা দাস( স্নেহার জ্যঠোতুতো বৌদি)-কে বিয়ে করে। যূথিকা দাসের এর আগে আরো চার বার বিয়ে হয়েছিল। তার একটি বারো বছরের মেয়েও রয়েছে। যূথিকা মিলনের থেকে সাত বছরের বড়। স্নেহার দাদা বৌদি ও ঋক মিলে অপহরণে ছক কষে। ঘটনার দিন স্কুলের সামনে থেকে স্নেহাকে নিয়ে যায় তার বৌদি যূথিকা । তাঁকে সারাদিন একটি ঔষুধের দোকানে লুকিয়ে রাখে তার বৌদি। এদিকে স্নেহার পরিবারের সাথে স্নেহার দাদা ও ঋক চারিদিকে খোঁজাখুঁজির অভিনয় করতে থাকে। এরপর রাত বাড়ার পর স্নেহা ও ঋককে দুর্গাপুর স্টেশনে নিয়ে গিয়ে হাওড়াগামী একটি ট্রেনে তুলে দেয় ওর দাদা বৌদি। সেখানে দুদিন একটি হোটেলে স্নেহাকে রাখে ঋক। এরপর তাঁকে বর্ধমানে নিয়ে আসে। সেখান থেকে পুলিশ স্নেহাকে উদ্ধার করে। গ্রেফতার করে ঋককে। থানায় ঋককে জেরা করে পুরো বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ। ঋকের বয়ান অনুযায়ো এরপর স্নেহার দাদা বৌদিকে গ্রেফতার করা হয়।
কিন্তু কি কারনে স্নেহাকে অপহরণ করা হল? মিলনের যূথিকাকে বিয়ের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি তাদের পরিবার। সব থেকে বেশি আপত্তি জানিয়েছিলেন স্নেহার বাবা নির্মল দাস।সেই কারনে প্রতিশোধ নিয়ে যূথিকা সমস্ত পরকিল্পনা করে, আর তাতে মদত দেয় যূথিকার স্বামী ও স্বামীর বন্ধু। পুলিস সুত্রে জানা গিয়েছে, দাদা বৌদি স্নেহাকে ভয় দেখিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে।