দুর্গাপুরের সরকারী স্কুল দেখে অভিভূত অনাবাসী অধ্যাপক দিলেন আর্থিক অনুদান
আমার কথা, দুর্গাপুর, ৯ জুলাইঃ
মাধ্যমিক পরীক্ষায় নেপালীপাড়া হিন্দি হাই স্কুলের ছাত্রদের মধ্যে গণিতে সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়েছে রূপেশ কুমার রায়। তাঁকে পুরষ্কৃত করা হল নগদ ১০,০০ টাকা, আর এই পুরষ্কার প্রদানকারী থাকেন সুদূর আমেরিকায়। অনাবাসী ভারতীয় দীপেন্দ্র নারায়ণ ভট্টাচার্য তাঁর বাবা-মা উপেন্দ্র নারায়ন ভট্টাচার্য ও মা শোভনাদেবীর নামে উৎসর্গ করেছেন এই পুরষ্কারটি।
আমেরিকার পেন ওয়স্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ দীপেন্দ্র নারায়ণ ভট্টাচার্য সামাজিক মাধ্যমে দুর্গাপুরের নেপালিপাড়া হিন্দি হাই স্কুলের কর্মকান্ড ও পরিকাঠামো দেখে অভিভূত হয়ে যোগাযোগ করেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কলিমুল হকের সাথে। তিনি এই স্কুলকে আর্থিক সহায়তার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সেই মতো স্কুলকে তিনি ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেন। সেই অর্থ ব্যাংকে স্থায়ী আমানত হিসেবে রাখে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেই গচ্ছিত অর্থের বার্ষিক সুদের থেকে ১০,০০০ টাকা একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে রূপেশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, ২০২৪ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে স্কুলের প্রথম দশ জন ছা্ত্র ছাত্রীকে উৎসাহ প্রদানও করা হয়। শীর্ষ তিন ছাত্রছাত্রীকে যথাক্রমে ২০০০, ১৫০০, ১০০০ টাকা নগদ পুরষ্কার দেওয়া হয়, সাথে অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের শংসাপত্র ও স্মারক প্রদান করা হয়।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি(পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা, এসিপি(দুর্গাপুর) সুবীর রায়, কোকওভেন থানার আধিকারিক সুদীপ্ত পরামানিক, দুর্গাপুর আর ই মডেল হাই স্কুলের সহ শিক্ষক সেখ নুরুল হক।
এদিনের অনুষ্ঠান সম্পর্কে স্কুলের প্রধান শিক্ষক কলিমুল হক বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় স্কুলের পরিকাঠামো দেখে দীপেন্দ্র নারায়ণবাবু আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন। বলেন এটা সরকারী স্কুল? আগে কখনো এত ভাল সরকারী স্কুল দেখিনি। আমিও আপনাদের পাশে দাঁড়াতে চাই। উনি প্রতি বছর স্কুলে মাধ্যমিকে গণিতে সর্বোচ্চ প্রাপককে ১০,০০০ টাকা করে পুরষ্কৃত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। আমি তাতে সম্মতি দিই।”