আসানসোলে বসে আশা ‘চাচি’ ডোমজুড়ের ডাকাতির ছক কষে ছিলেন?
আমার কথা, আসানসোল, ১১ জুলাইঃ
হাওড়ার ডোমজুড়ে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার মাস্টারমাইন্ড আশা মাহাতো ওরফে চাচি আসানসোলের মহিশিলার বাসিন্দা ঋষিকেশ সাহার বাড়িতে ভাড়া নিয়ে ছিলেন বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। তিন মাস ধরে ওই বাড়িতে একটি শিশু, দুজন পুরুষ ও চাচি ছিলেন বলে জানান বারির মালিক ঋষিকেশবাবু। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ঘর ভাড়া নেন আশা চাচি আর থাকেন মে মাস পর্যন্ত্য। এরপর ১১ জুন দোমজুড়ের ডাক্তির ঘটনাটি ঘতে। তাহলে কি এই বাড়িতে বসেই ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিলেন বিহারের এই মহিলা? পুলিস তাও খতিয়ে দেখছে।
হাওড়ার ডোমজুড়ে গত ১১ জুন ডাকাতির ঘটনা ঘটে। মালিক সহ দোকানের কর্মীদের হাত পা বেঁধে করা হয় ডাকাতি। প্রচুর সোনা লুঠ করা হয় সেদিন ওই দোকান থেকে। ঘটনার তুন্তে নেমে ভিন রাজ্যের যোগ পায় হাওড়া সিটি পুলিশ। বিহার থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয় যার মধ্যে ছিলেন এই আশা মাহাতো। বিহারের সমস্তিপুরের বাসিন্দা আশা চাচি। একসময় কুখ্রযাত অপরাধী সুবোধ সিং এর হয়ে কাজ করতো এই চাচি। বর্তমানে সুবোধ সিং সিআইডি হেফাজতে রয়েছে। সুবোধ সিং এর দলের মূল পান্ডা ছিল মনীশ মাহাতো ওরফে মুনিয়া। তাঁকে চাচি আলাদা দল গড়ার পরামর্শ দেন। সেই মতো মুনিয়া আলাদা দল গড়ে আর চাচির বুদ্ধিতে নানা অপরাধমূলক কাজের সাথে যুক্ত হতে থাকে মুনিয়া ও তার গ্যাং। চাচির চেহারা একেবারে সাদামাটা। মাথায় ঘোমটা টানা। পুলিশ সুত্রে জানা যায়, মহিশিলায় ঘর ভাড়া নিয়েছিল ডোমজুরের ডাকাতির আগে। সেখানে দুটি সেকেন্ড হ্যান্ড বাইকও কেনে।
বাড়ির মালিক ঋষিকেশ বাবু জানান, আমাকে এলাকারই এক ব্যাক্তি চাচিদের ঘর ভাড়া দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু ঋষিকেশবাবু বলেছিলেন তিনি পরিবার ছাড়া ভাড়া দেবেন না। সাথে পরিচয়পত্র হিসেবে আধার কার্ড চেয়েছিলেন। সেটা তাঁকে দেওয়াও হয়েছিল, কিন্তু সেই আধার কার্ডগুলি ঝাপসা ছিল। পরে বিষয়টি ধামাচাপা পরে যায়। এদিকে পাথর লোডিং আনলোডিং এর কাজ করতো বলে ঋষিকেশবাবুকে জানিয়ে ছিলেন চাচি। এই চাচিই দোমজুড়ের দাকাতির ঘটনার সাথে যুক্ত বিষয়টি জানার পরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। বর্তমানে ধৃত চাচি পুলিসের হেফাজতে রয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে।