দুর্গাপুরে শিশু অপহরণের ঘটনায় নয়া মোড়, গ্রেফতার এলাকারই দুই মহিলা
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১৬ জুলাইঃ
দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর তিলক রোডের শিশু অপহরনের ঘটনায় নয়া মোড়। এলাকারই দুই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে।
গত ১৭ জুন রাত ৯টা ৩০ নাগাদ তিলক বস্তি সংলগ্ন একটি মাঠে নিজের দুই দিদির সাথে খেলা করছিল ১ বছর ১০ মাস বয়সী সুমিত্রা সাউ। সেই সময় দুই দিদির কাছ থেকে বোনকে অপহরণ করে বাইকে করে নিয়ে পালিয়ে যায় এক তরুণী ও এক তরুন। ঘটনার পরে বেশ আতঙ্ক আর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে তিলক বস্তি এলাকায়। পুলিশ তদন্তে নামে। তদন্তের মাঝেই আচমকাই দিন দুই পরে ১৮ জুন একটি গাড়িতে করে সন্ধ্যেবেলা তিলক এলাকাতেই সুমিত্রাকে নামিয়ে দিয়ে যায় কেউ বা কারা। এই ঘটনার পেছনে কাদের হাত ছিল তা জানার জন্য তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। তদন্তে এরপর গতিবেগ আসে। দুজন মহিলাকে পুলিস গ্রেফতার করে, যাদের মধ্যে একজন হলেন মমতা কুজুর যিনি ওই তিলক বস্তিতেই থাকেন ও অপরজন নমিতা ধাত্রী যিনি কাশিরাম বস্তিতে থাকেন। মমতা ও নমিতা সম্পর্কে দুই বোন হন।
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি(পূর্ব) জানান, “আমারাও তদন্তে হাতে কিছু সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পাই। সেই ফুটেজে শিশুটির অপহরনের সময় মমতা কুজুরকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়। সুত্র ধরে সাথে আরো কিছু প্রমানের ভিত্তিতে মমতাকে আমরা গ্রেফাতার করি। এরপর মমতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সাথে নমিতার যোগের বিষয়টিও জানতে পারি। এরপর নমিতাকেও আমরা গ্রেফতার করি। তবে এই অপহরণের পিছনে এদের কি স্বার্থ জড়িত রয়েছে তা তদন্তের স্বার্থে এখনই বলা যাবে না”।
যদিও নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁরা নিরপরাধ। এই ঘটনার সাথে তাঁদের কোনো সম্পর্ক নেই। পুলিশ তাঁদের ফাঁসাচ্ছে।
ধৃতদের আজ অর্থাৎ দুর্গাপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক চার দিনের পুলিশী হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে সুমিত্রার অপহরনের সাথে তাঁদের কি যোগ রয়েছে।